‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সাথে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি জ্বালিয়ে নারীপক্ষের আয়োজনে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে বিভিন্ন প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে নারীপক্ষ নিয়মিতভাবে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে আসছে।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা থেকে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন’।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া কাছের মানুষগুলোর মুখ আমাদের স্মৃতির মণিকোঠায় এখনো সমুজ্জ্বল। স্বাধীনতা-পরবর্তীতে প্রায় প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, বিশেষ করে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা অব্যাহত আছে। অনেক সময় স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও নারী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণ করে মোমবাতি জ্বালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে সব অসমতা দূর করে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করি।
অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষ’র সদস্য রেহানা সামদানী। গান পরিবেশন করেন জান্নাত-এ-ফেরদৌসী ও নারায়ণ চন্দ্র শীল, ছায়ানট। কবিতা আবৃত্তি করেন ইকবাল আহামেদ ও তন্বী সোম।
স্মৃতিচারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাররম হোসেন বলেন, আমি একজন চা বাগানের ব্যবস্থাপক ছিলাম। সেখানে দেখেছি নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।
এ ছাড়াও তিনি যুদ্ধকালীন সহিংসতার কথা তুলে ধরেন।
নারীপক্ষ’র সদস্য রাশিদা হোসেনের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
মন্তব্য করুন