বাঙালিরা ভাষাগত, সামরিক শাসনের নিপীড়ন শিকার হয়েছে ২৪ বছর। সংখ্যালঘু, আদিবাসী এখনও নিপীড়িত হচ্ছে। রাষ্ট্রের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল সংস্কৃতিকে লালন। অথচ রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি দুই ঘরের বাসিন্দা হয়ে রয়েছে।
‘বিজয় উৎসব-২০২৩ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার পরিস্থিতি: তারুণ্যের ভাবনা' শীর্ষক প্যানেল আলোচনা রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় (১০ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আলোচকরা এসব মন্তব্য করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন নাট্যকর্মী মাসুম রেজা, সংস্কৃতিকর্মী ত্রপা মজুমদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। আলোচনা শেষে 'বাঙালির গান' শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশন করেন সরকারি সংগীত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
নাট্যকর্মী মাসুম রেজা বলেন, গাজায় কত নারী-শিশু মারা যাচ্ছে। ১৬ হাজার নারী-শিশুর মৃত্যুর হিসেব রয়েছে। অর্ধেক মানুষ না খেয়ে রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয় নেই। এরপরও ফিলিস্তিনিদের দোষ দেওয়া হচ্ছে। বলছে, তারা নাকি শান্তি চায় না।
সংস্কৃতিকর্মী ত্রপা মজুমদার বলেন, মানবাধিকার শব্দটি শুনলে রাজনৈতিক অভিসন্ধি মনে হয়। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহারের সাথে এমন কিছু শব্দ চলে আসে যা ৩০টি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামজ্যুস খুঁজে পাওয়া যায় না। অঙ্গীকার কোনো আইন নয়, তাই এটি পদে পদে ভাঙা হচ্ছে। গাজায় প্রতিদিন যে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, মানবাধিকারের অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমরা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছি না।
চলচ্চিত্র নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এর মতে, চলচ্চিত্র নির্মাতা সব সময় সমাজের কথা বলেন। অথচ সংস্কৃতির যে চর্চা চলছে সেখানে মানবাধিকার অনুপস্থিত। সমাজের কথা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা চলচ্চিত্রে তুলে ধরলে– যেমন হাওর অঞ্চল নিয়ে ছবি ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ মূল হলগুলোতে জায়গা পায়নি। পেছনের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সমাজেও আপাতত একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ দেখা গেলেও ভেতরে ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়েই মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।
মন্তব্য করুন