‘শিশুর ভবিষ্যৎ ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করলে আজীবন তার সুফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের নেতৃত্বে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. নাহিদ রশিদ এ কথা বলেন।
ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্বে জাতীয় মৎস্য নীতিতে ‘পুষ্টি’ বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না, কিন্তু সুচনাকে ধন্যবাদ আমরা এখন নীতি সংশোধনে পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করেছি। খর্বকায়তার অনেক কারণ মোকাবিলা করতে সুচনা কাজ করেছে এবং পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করতে আমাদের আরও সহযোগিতার প্রয়োজন এবং এর জন্য বহু বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকার দারিদ্র্য বিমোচন এবং স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী, যার জন্য সরকার, এনজিও ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুচনা প্রকল্পটি ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বারা অর্থায়িত। এই প্রকল্প ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৯টি পরিবারকে লক্ষ্য করেছিল, যা সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ২০টি উপজেলা এবং ১৫৭টি ইউনিয়নে বসবাসকারী ১৪ লাখ প্রকল্প অংশগ্রহণকারীর কাছে পৌঁছায়। সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে ভালো কাজ/ অনুশীলনগুলোর প্রতিলিপি অব্যাহত রেখেছে সুচনা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সুচনা প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ড. শাহেদ রহমান প্রধান অর্জন সম্পর্কে বলেন, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় মৎস্য নীতিতে (পুনর্বিবেচনাধীন) ‘পুষ্টি’ অন্তর্ভুক্তকরণ; ৪১ লাখ বীজের প্যাকেটের মাধ্যমে পুষ্টি প্রচার; স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের (ডিআরআর) ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের বাজেট (ইউনিয়ন পরিষদ) বৃদ্ধি; জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (২০২৩-৫০) জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তকরণ; সরকার কর্তৃক কিশোর জীবন দক্ষতা, ফুলের চাষ ও হাঁস-মুরগির মডিউল ব্যবহার; এবং ৭৯ হাজার ৬৭৪ জন দরিদ্র/অতি দরিদ্র উপকারভোগীকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এডউইন কোয়েককোয়েক, টিম লিডার, গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি।
মন্তব্য করুন