ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ ক্ষমতায়নে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিষেবার উন্নয়নে ৪টি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা জ্যানাক্স হেলথ, ইমপ্যাক্ট হাব ঢাকা, গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (জিইউকে) এবং টগুমোগুর কর্ণধাররা ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেছে।
ভবিষ্যৎ ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করার লক্ষ্য হলো- নারী ফার্মাসিস্টদের তাদের নিজস্ব ফার্মেসি স্থাপনে ক্ষমতায়ন করা, মানসম্পন্ন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য, কাউন্সেলিং এবং রেফারেল পরিষেবাগুলোকে উন্নত করা। বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলা, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী নারী এবং মেয়েরা, যারা বস্তিতে বসবাস করে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এই চুক্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পে নারী ও মেয়েদের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য ও সেবা উন্নত করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মালিক এবং ক্রেতা উভয়ের যৌন প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক অ্যাডভোকেসি, ডেটা সংগ্রহে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি এবং বেসরকারি সংস্থার অংশীদাররা বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রচারে ফার্মাসিস্ট এবং ওষুধ বিক্রেতাদের দ্বারা ক্ষতিকারক অনুশীলনগুলো বন্ধ করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যাগুলোর জন্য সঠিক ওষুধের চিকিৎসাপত্র দেখে ওষুধ বিক্রি করা এবং ফার্মেসিতে পরিবার পরিকল্পনা নির্দেশিকা টানিয়ে দেওয়া। শুধু তাই নয়, ফার্মেসিতে দক্ষ নারী ফার্মাসিস্ট যুক্ত করা। যারা কিশোর-কিশোরী ও নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক তথ্য দিবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পটি ৪০০ ফার্মাসিস্টকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবা, টেলিমেডিসিন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা, নিরাপদ মাতৃত্ব, সার্ভিক্যাল ক্যানসার সচেতনতা, প্রসূতি ফিস্টুলা প্রতিরোধ এবং আরও সমস্যা নিরসনে ফার্মেসিগুলোকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। ইউএনএফপি বাংলাদেশ অল্পবয়সী নারীদের বিনিয়োগ, তাদের নিজেদের ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার জন্য আর্থিক, সামাজিক বা দক্ষতা-সম্পর্কিত সহযোগিতায় প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোখস বলেন, নারী ফার্মাসিস্টরা শুধু প্রয়োজনীয় পরিবার পরিকল্পনা এবং মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানই করবেন না, সামাজিক নিয়মনীতির চ্যালেঞ্জে মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। নারী ফার্মাসিস্টরা একেকজন সফল উদ্যোক্তা, পরিষেবাকারী এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে উঠবেন।
এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন ড. আবু সাঈদ মোহাম্মদ হাসান, কমলাফুল ফার্মেসির তথ্য উপস্থাপন করেন তানিয়া তামান্না, বগুড়া থেকে নারী ফার্মাসিস্ট আরমিনা খাতুন, জেনাক্স হেলথের জাইম আহমেদ, টোগোমোগোর ডা. নাজমুল আরেফিন, ইমপ্যাক্ট হাব ঢাকার বিশ্বমিত্র চৌধুরী এবং অনলাইনে বক্তব্য দেন গ্রাম উন্নয়ন কর্ম ডা. মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন