স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের সকল শিশু, বিশেষ করে আরবান এলাকার অবহেলিত ও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর শিশুদের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, এসডিজি, আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ ও বিদ্যমান আইন ও পলিসিসমূহের আলোকে আরবান সংসদীয় ককাসের সংসদ সদস্যরা কাজ করবে।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ সদস্য হোস্টেলের এলডি হলে আরবান সংসদীয় ককাস এর প্রস্তাবিত কার্যক্রমসমূহের উপর প্রথম আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, শিশু সংক্রান্ত আইন/নীতিসমূহের ক্ষেত্রে কোনো সংযোজন বা পরিমার্জন বা বিয়োজন ও সংশোধন বিষয়ে সংসদ, সংসদ বিষয়ক কমিটির সভায়, সংসদের বাইরে আরবান সংসদীয় ককাসের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আরবান সংসদীয় ককাস এর চেয়ারপারসন রানা মোহাম্মদ সোহেল, এমপি। স্বাগত বক্তব্য দেন আরবান সংসদীয় ককাস এর কো-চেয়ার সৈয়দ রুবিনা আক্তার মিরা, এমপি, আরবান সংসদীয় ককাস গঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য দেন আরবান সংসদীয় ককাস এর সদস্য আরমা দত্ত, এমপি। এছাড়াও বক্তব্য দেন সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, বাসন্তী চাকমা, এমপি, হাবিবা রহমান খান, এমপি, শিরীন আহমেদ এমপি, আবিদা আনজুম মিতা, এমপি, শামসুন নাহার এমপি, জিন্নাতুল বাকিয়া, এমপি, মহিলা আইনজীবী সমিতির চেয়ারম্যান সালমা আলী, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু প্রমুখ।
রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেই স্থানের মানুষেরা শহরে চলে আসে। এর প্রভাবে দেশের ভেতরে এক স্থান থেকে আরেকস্থানে অভিবাসন হয়। তাদের বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি ইত্যাদি সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো সম্মিলিতভাবে।
আরমা দত্ত, এমপি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে নারী ও শিশুর ইস্যু থাকবে কিনা এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আরবানের পথশিশু, নারী-পুরুষদের জন্য কি করা যায় এর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং আরবান সংসদীয় ককাসে এটি অন্তর্ভূক্ত করার জোর দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এতে আরবান এলাকার মানুষ বিশেষ করে দরিদ্র, বস্তিবাসী ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের অধিকার বিষয় গুরুত্ব পাবে।
সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা আছেন, তারা যদি আমাদের পরামর্শ দেন এবং কিকি কাজ করা যেতে পারে তা আলোচনায় তুলে ধরেন। সকলের চিন্তা একজায়গায় আসতে পারি, তাহলে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারবো। কারণ আমাদের উভয়ের কাজের উদ্দেশ্যে সৎ। এজন্য পরিকল্পনা দরকার।
ওয়াল্ড ভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর– অপারেশন্স চন্দন জেড গোমেজ বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে কিভাবে সংসদীয় আরবান ককাসকে সম্পৃক্ত করে দেশের সমস্যা নিরসনে কি কি কর্মসূচি নেওয়া যায় সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন