চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মহিলা সংস্থার তথ্য আপারা। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টায় তথ্য আপা : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আয়োজনে তথ্য আপা প্রকল্প (২ পর্যায়) এর কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
তারা বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের নারীর ক্ষমতায়নে আমরা কাজ করছি। আমরা নিজেরা সাবলম্বী হয়ে আবার বেকার হয়ে যাবো। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২ হাজার তথ্য আপা, সেবা কর্মকর্তারা তাদের দাবি আদায়ে সকাল থেকে সমবেত হন। প্রত্যেকের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার, পোস্টার ছিল। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রাজপথ। ‘গ্রামীণ নারীর একমাত্র আশ্রয়স্থল তথ্য আপা প্রকল্প/ জনবল সহ রাজস্ব চাই’; ‘এক দফা এক দাবি/জনবল সহ রাজস্ব চাই’; ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি/ মানতে হবে মানতে হবে’; ‘আর নয় চুক্তি/ আমরা চাই মুক্তি’; ‘বৈষম্যের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; নারী পুরুষ সমতায়/ তথ্য আপা পথ দেখায়’; তথ্য আপার মাধ্যমে/ নারী উদ্যোক্তা ঘরে ঘরে’; ‘আমার সোনার বাংলায়/ বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদরের উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা সঙ্গীতা সরকার বলেন, তথ্য প্রকল্পের আওতায় তথ্য আপা প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ২০১১ সালে ১৩টি উপজেলায় ৫ বছরের জন্য তথ্য আপা প্রকল্প (একপর্যায়) নেওয়া হয়। এটির ব্যাপক সফলতার পর আরও ৫ বছরের জন্য তথ্য আপা প্রকল্প (২ পর্যায়) নেওয়া হয়। ডিপিডিতে উল্লেখ করা হয়, এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাবে। তারা রাজস্বের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এক বছর, এক বছর করে মেয়াদ বাড়িয়েছে। কিন্তু সরকারিকরণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তারা চুক্তির খেলাপ করেছে। ২০১৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে, প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই তারা যেন পদ সৃজন হওয়ার চিঠি দেয়। তারা সেই চিঠিও দেয়নি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যে বেতন ভাতা দেওয়ার কথা সেটিও আমাদের দেয়নি। প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে কেটে রাখা হতো। বলা হয়েছিল রাজস্বে যেতে হলে এই কাঠামোটি দরকার রয়েছে। তারা সরকারিকরণ না করে ৩০ জুন মেয়াদ শেষ করেছে।
মন্তব্য করুন