বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের ৯৫ ধরনের প্যাকেজ আছে। তাদেরকে প্যাকেজ সংখ্যা ৪০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটরদের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদী ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ বাড়লে দাম বেড়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে বিটিআরসির কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। মেয়াদ বাড়লে গ্রহকের সুবিধা বাড়বে। তবে দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই। এমনকি ইন্টারনেট প্যাকেজের সংখ্যাও কমবে না। গ্রাহকরা পছন্দ মতো প্যাকেজ বাছাই করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
ইন্টারনেটের যেসব প্যাকেজ গুলোতে অফার থাকে সেগুলোর নেট স্প্রিড খুবই স্লো, এমন অভিযোগও পায় বিটিআরসি। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বিটিআরসি কমিশনার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অ্যাকশানে যাওয়ার চেষ্টা করি। কোনোভাবেই যেন গ্রাহক প্রতারণার শিকার না হয় সে বিষয়ে সজাগ আছে বিটিআরসি। তাদের বর্তমান কর্যক্রম যেকোনো সময়ের চেয়ে মসৃণ বলে জানান মুশফিক মান্নান চৌধুরী।
টেলিকমিউনিকেশন খাতের বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা অধিকার সংস্থার মতে, এর মাধ্যমে ভোক্তাদের পছন্দের স্বাধীনতা সীমিত করা হলো। এই উদ্যোগটি তৃণমূল, নিম্ন-আয়ের ও তরুণদের ওপর আর্থিক প্রভাব ফেলবে এবং এর কারণে টেলিকম পরিষেবা, বিশেষত ইন্টারনেটের ব্যবহার কমবে।
তবে বিটিআরসি বলছে, তারা মোবাইল ব্যবহারকারীদের ওপর জরিপ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, গ্রাহকরাও অফার প্যাকেজ সীমিত করার পক্ষে। যদিও বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে মোবাইল অপারেটররা। তাদের মতে, বিটিআরসির জরিপে এমন ধরনের প্রশ্ন ছিল, যা উত্তরদাতাদের উত্তরকে প্রভাবিত করেছে।
গত ৩০ মে বিটিআরসির জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখা অনেক গ্রাহকও বলেন, তারা আরও প্যাকেজ চান, বিশেষ করে ওটিটি ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের জন্য।
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ বিষয়কমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মোস্তফা জব্বার বলেছেন, 'আগে তারা ৩০০ ধরনের প্যাকেজ অফার করত। এখন ৯৫ ধরনের প্যাকেজ দিচ্ছে। গ্রাহকদের পক্ষে কি ৯৫ ধরনের প্যাকেজ থেকে সব মনে রেখে পছন্দের প্যাকেজ বাছাই করা সম্ভব? এর মাধ্যমে মানুষ চরম মাত্রায় বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই আমরা এর সংখ্যা কমিয়ে ৪০ এর মধ্যে নিয়ে আসতে বলেছি। অপারেটরদের স্বৈরাচারী মনোভাব ভাঙতে একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন