বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের বিষয়ে অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ইন্টারনেট বন্ধের নেপথ্যের মূল কারণ কী ছিল এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত ছিল সে বিষয়ে অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ রোববার (১১ আগস্ট) বিভাগে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কমিটির মাধ্যমে অনুসন্ধান এবং তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান নতুন উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজিটাল রাইটসে পরিণত হয়েছে। এটা মানবাধিকারের বিষয়। ইন্টারনেট বন্ধ বলেন বা সেটাকে সীমিত পর্যায়ে নিয়ে আসা, এই মানবাধিকার বিষয়টা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে, সাংবাদিকসহ সবাই সত্যটি জানতে পারে। আমি আজকে চেষ্টা করব, প্রথম দিনে, গত আন্দোলনে যে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন (ইন্টারনেট বন্ধ), তার তদন্তের জন্য আজকে ব্যবস্থা নেব।
আগামীতে আইসিটি সেক্টরে তরুণদের সঙ্গে কাজ করবেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আইসিটি সেক্টরে তরুণদের কাজের একটা বড় সুযোগ রয়েছে। এখানে যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে সংযোগ করে কাজ করতে হবে।
এদিকে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে। কমিটির বাকি সদস্যদের নাম রোববার বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আজই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে বলে বিকেলে মুঠোফোনে কালবেলাকে জানিয়েছেন আমিরুল ইসলাম। কমিটিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে প্রতিনিধি রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান আমিনুল হক।
মন্তব্য করুন