চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে চীন। মানুষবিহীন এ যানটি চাঁদের কিছুটা দূরে সফলভাবে অবতরণ করেছে। রোববার (০২ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ) জানিয়েছে, চীনের স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে অবতরণ করেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠের অদূরে দক্ষিণ মেরুর আইটকেন ব্যাসিনে এটি অবতরণ করে।
চীন সরকার জানিয়েছে, মাহাকাশযানটি এমন জায়গায় অবতরণ করেছে যেখানে আর কেউ পৌঁছাতে পারেনি। আইটকেন ব্যাসিন নামে পরিচিত এ জায়গাটি বিশাল গর্ত। চাঁদ গঠিত হওয়ার শুরুর দিকে বিরাট কোনো সংঘর্ষের ফলে এটির সৃষ্টি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
গত ৩ মে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করে মহাকাশযানটি। এটির মূল উদ্দেশ্য হলো চাঁদ থেকে মূল্যবান পাথর ও মাটি সংগ্রহ করা। ইতোমধ্যে আইটকেন ব্যাসিন থেকে প্রাচীনতম কিছু পাথরও বের করেছে চন্দ্রযানটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাকাশযানটির চাঁদে অবতরণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ এটি একবার চাঁদের দূরবর্তী প্রান্তে পৌঁছে গেলে এটির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় অসম্ভব। নাসা জানিয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে কাঙ্ক্ষিত উপকরণ সংগ্রহ করতে উচ্চঝুঁকি নিতে হবে। এতে তিন দিন সময় লাগতে পারে মহাকাশযানটির।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের চন্দ্র ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পার্নেট-ফিশার বলেন, চাঁদে এমন অনেক পাথর রয়েছে যা আমরা আগে কখনো দেখি নাই। বিষয়টি নিয়ে অনেকের আগ্রহও রয়েছে। এ ছাড়া চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা পাথরগুলো দিয়ে মহাকাশের গ্রহগুলোর গতিবিধি ব্যাখ্যা করা যাবে বলেও জানান তিনি।
নতুন করে চাঁদে পৌঁছানো এ মহাকাশযানটির নাম চেইঞ্জ-৬। এর আগে ২০১৯ সালে চেইঞ্জ-৪ নামের একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিল চীন।
মন্তব্য করুন