সরকারের দয়া-দাক্ষিণ্য নয় বরং নীতিগত সমর্থনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে চায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীরা। এ খাতের নেতারা বলেছেন, তিন ধরনের সুবিধা পেলে সরকারের কাছে আর প্রণোদনা চাইবেন না তারা। এগুলো হলো- বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের দেশি প্রতিষ্ঠানের সুযোগ নিশ্চিত করা, ইন্ডাস্ট্রির জন্য পর্যাপ্ত শীর্ষ ও মধ্যম সারির দক্ষজন সম্পদ গড়ে তোলা এবং ব্যবসায় ব্যয় কমানো ও সহজীকরণ করা।
রোববার (৯ জুন) রাজধানীর কাওরান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান তারা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনিুষ্ঠিত হয়।
এতে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাব-এর সহসভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা উপস্থিত থেকে নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বাজেট প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বাজেট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এসময় আইসিটি খাত নেতারা বলেন, প্রতিটি খাতকে স্মার্ট হতে প্রযুক্তির ব্যবহারের বিকল্প নেই। সেই পথ দিয়ে আইটিইএস সেবার কর অবকাশ মেয়াদ আরো তিন বছর বাড়িয়ে নতুন প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করাকে সাধুবাদ জানাই। তবে আগের তালিকা থেকে ৭টি বিষয় বাদ দেওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈদেশীক মুদ্রা বাঁচাতে ওয়েব হোস্টিং ও ক্লাউড সেবাকে আইটিইএস সেবায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে অবকাশ মেয়াদ তিন বছর থেকে পাঁচ বছরে উন্নীত করার দাবি জানান বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
ওয়েব হোস্টিং, ক্লাউডে চাপ পড়লে তা-ই কমার্সের ওপর প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে আম্বারিন রেজা বলেন, ক্যাশলেস হতে সরকার পেমন্টের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়া, ই-লার্নিং এ কর অব্যাহতি এবং ক্ষুদ্র ও কুটির উদ্যোক্তাদের উৎসে কর উঠিয়ে নেওয়ার দাবি করছি।
বাজেট দেখে মন খারাপ হয়েছে উল্লেখ করে আইএসপিবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আইএসপিগুলো শতভাগ দেশি প্রতিষ্ঠান। তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তৃতীয় বারেও আইটিইএস-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটা হতাশাজনক। দেশে ব্রডব্যন্ড এর বাজার দখল এখন মাত্র ১০ শতাংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ ব্স্তবায়নে এই হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
মন্তব্য করুন