দেশের তিন মোবাইল অপারেটরের অনুকূলে প্রযুক্তি নির্বিশেষে একক (ইউবুফায়েড) লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
এই তিন অপারেটর হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক এবং বেসরকারি খাতের গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটা।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ’ গাইডলাইনের আলোকে অপারেটরদের অনুকূলে ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স’ এবং ‘রেডিও কমিউনিকেশন্স এপারেটাস লাইসেন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস’ শীর্ষক একীভূত লাইসেন্স প্রদান করা হলো। এর ফলে পূর্বের টুজি, থ্রি জি, ফোর জি এবং তরঙ্গ ফি এর জন্য আলাদা লাইসেন্স এবং নির্দেশিকা পরিবর্তে সব বিষয়কে এক লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। একীভূত লাইসেন্সে ফাইভ জি’র ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ‘একসেস’ তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ‘ব্যাকহল’ ফাইবারের পাশাপাশি পাবলিক অবকাঠামো ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, রোল আউট বাধ্যবাধকতা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা প্রভৃতি বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৫ বছরের জন্য ১৯৯৬ সালে টুজি-এর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। থ্রি জি-এর জন্য আবার আরেক সময় আরেকটা মেয়াদে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এভাবে ফোর জি। এই সবগুলোকে একীভূত করে এই লাইসেন্স দেওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আরও দুই বছর আগে লাইসেন্স একীভূতকরণ এর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, প্রযুক্তি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত করতেই তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছিলেন। লাইসেন্স একীভূত করার সিদ্ধান্ত আমাদের ইতিবাচক রিটার্ন দেবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দিতে এই লাইসেন্সের গুরুত্ব অপরিসীম। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে টুজি, থ্রি জি, ফোর জি এবং ফাইভ জি এমনকি এরপরেও যে প্রযুক্তি আসবে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যথাযথ নিয়মে নিলামের মাধ্যমে এই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌ. শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হক, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা, কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা এবং মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন