ইন্টারনেটের গতি ও নিরাপত্তা, উভয় বিচারে প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি সার্ফশার্কের দৈনন্দিন জীবনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত সূচকে জানা গেছে এ তথ্য। কোম্পানিটি ডিজিটাল কোয়ালিটি লাইফ বা ডিকিউএল নামে একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের ১২১টি দেশের ডিকিউএল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে সার্ফশার্কের এই ডিকিউল সূচক। প্রতিষ্ঠানটির সূচক অনুসারে, বাংলাদেশের ফিক্সড ইন্টারনেটের গড় গতি ৫৩ এমবিপিএস এবং মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি মাত্র ২০ এমবিপিএস। উভয় মাধ্যমে গড়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৭৩ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে ভারত।
সূচক অনুযায়ী ফিক্সড ইন্টারনেটের গতির হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ফিক্সড ইন্টারনেটের গতি ৩০০ এমপিবিএস। আর মোবাইল ইন্টারনেটের গতির হিসেবে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ৩১০ এমবিপিএস। এই তালিকায় সবার শেষে থাকা দেশটির নাম ভেনেজুয়েলা। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় মোবাইল ইন্টারনেটের গতি মাত্র ১০ এমবিপিএস।
সার্ফশার্কের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে যদিও বাংলাদেশের ফিক্সড ইন্টারনেটের গতি ৪১ শতাংশ এবং মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে; তা সত্ত্বেও এখনও দেশে ইন্টারনেটের গতি বৈশ্বিক গড় গতির চেয়ে ৫ শতাংশ কম।
সার্ফশার্কের নিরাপদ ইন্টানেটের সূচকেও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই সূচকে অবশ্য ব্যবধান অনেক কম। নিরাপদ ইন্টারনেটের সূচকে বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ৬৬তম এবং বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭তম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি। শতাংশের হিসাবে যেটি ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
মন্তব্য করুন