প্রস্তাবিত সাইবার আইনে শুধু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোতে সাইবার হামলা ও হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান রাখা হয়েছে। পূর্বের আইনে যে কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ক্ষমতা ছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাওয়ে অনুষ্ঠিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান তিনি।
আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অতিরিক্তসচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন অধ্যাদেশে ডজনের বেশি নতুন সংজ্ঞা যুক্ত করে এবং ৪টি অপরাধকে অজামিন যোগ্য করে হালনাগাদ করা হয়েছে। এ ছাড়াও পূর্ববর্তী আইনের বিতর্কিত ৯টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। জনপরিসরে আপত্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে এই আইন থেকে বুলিংকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারকেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অধীনে আনার পাশাপাশি অধ্যাদেশের ২৫ এর ৩ এ নারী ও শিশু সাইবার অপরাধকে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে।
আইসিটি সচিব জানান, এরপরও যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে তবে তা জানালে আইন পাশের আগে সংশোধন, পরিমার্জনের সুযোগ থাকছে। দেশে সুপ্রসস্ত সাবাইর স্পেসকে সুরক্ষায় নিবর্তন মূলক না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তবে সংস্কারের মানসিকতায় এটি নিয়মিত হালনাগাদ হতে পারবে। প্যানালকোডে যেসব বিষয় আছে তা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিজিডি গভসার্ট প্রকল্পের অধীনে যে কাজ চলছে তার বাইরে জনপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সিকে আরও কার্যকর করতে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের পর এর পরিধি আরও বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমেদ বলেন, এই অধ্যাদেশ পূর্ববর্তী নিপীড়নমূলক আইনের অপরাধবোধের দায়মুক্তি দিতে সক্ষম হবে। ভবিষ্যতে কোনো সরকার যাতে এই আইনকে কালাকানুন হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সে দিকটায় নজর দেওয়া হয়েছে। এটা যেনো নিবর্তনমূলক না হয় সে জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষার সঙ্গায় ইন্টারনেটের সার্বক্ষণিক সংযুক্তি, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা গঠন, ব্যক্তির পাশাপাশি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বিষয়কেও সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই আইনে সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে এআই, মেশিন লার্নিং, ম্যালওয়ার এজেন্সিকে সংযুক্ত করা হয়েছে যাতে এটি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ হয়। এই আইনে রিভেঞ্জ পর্ণকে অপরাধ হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান ফয়েজ আহমেদ। এ সময় সরকারের অনুরোধে কোনো কন্টেন্ট ব্লক করা হলে তার তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
আইসিটি নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এই আইন বাংলাদেশের সব পেশাজীবীদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। শব্দ চয়নে বিতর্কিত বিষয়গুলোকে সতর্কতার সঙ্গে সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন