দেশে ইন্টারনেটের দাম আরও কম হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী। এ সময় তিনি বলেন, ‘নেটওয়ার্ক খাতকে ঢেলে সাজাতে নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা হবে; যেখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না।’
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি মিলনায়তনে টেলিকম খাতের সংস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের শুল্ক আরোপ নিয়ে কমিশন কোনো মন্তব্য করবে না। এটা সরকারের বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সকাল-সন্ধ্যা পাল্টাতে হয়, এমন কোনো নীতিমালা টেলিকম খাতে তৈরি করা হবে না। এই খাতকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে; যেখানে মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হবে না।’
আগামী মার্চের মধ্যে গ্রাহকবান্ধব একটা নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলেও জানিয়েছেন এমদাদ উল বারী।
ডিজিটাল উন্নয়ন সহযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হবে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এর ওপর ভিত্তি করে নীতিমালা তৈরি হবে। এ ক্ষেত্রে পরিস্কার ও টেকসই নীতিমালার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হচ্ছে না। জটিল ও টুকরো টুকরো নেটওয়ার্ককে এক সুতোয় গাঁথতে রিভিউ করে সহজ, সক্ষম ও সাশ্রয়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বড় পরিসরের ডিজিটল সেবা মেটাতে ফ্রিক্সড ব্রডব্যান্ডের পথে থাকা বাধা কাটিয়ে তুলতে যেন নতুন প্রযুক্তি সহজেই অভিযোজিত হয়, সে দিকটায় গুরুত্বারোপ করতে অ্যাক্টিভ শেয়ারিং উন্মুক্ত করা এবং সবুজ প্রযুক্তির দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাদ দেওয়া এবং সুস্থ প্রতিযোগিতায় বাধা সৃষ্টিকারী ভার্টিক্যাল লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।’
ফাইভ-জি সেবা নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে ফাইভ-জি সেবা কবে নাগাদ চালু হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে ফাইভ-জি সেবা চালু করতে বিটিআরসি কাজ করছে।’
মন্তব্য করুন