টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। রোববার (২৮) বিকেল ৩টা থেকে সারা দেশে এ সেবা চালু করা হয়।
এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ব্রিফিংয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান বিকেল ৩টার দিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে।
তিনি বলেন, ‘সকালে বিটিআরসিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ বিকেল ৩টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি পুনঃস্থাপন করতে পারব। বিকেল ৩টার পর থেকে সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। তার জন্য প্রযুক্তিগত যত সহায়তা দরকার, আমরা তা সবসময় দেব। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোও যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তুতি নেবে।’
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সীমিত করা হয়। এর পরদিন (১৮ জুলাই) মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সে সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন। একই দিন সন্ধ্যায় সঞ্চালন লাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। ফলে দেশজুড়ে সব ধরনের ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়। আর আজ বিকেল ৩টা মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। কিন্তু এখনো বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটক।
বাংলাদেশে সবার জন্য কবে থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু হবে, তা জানতে চাইলে জুনাইদ আহমেদ জানান, এটা ফেসবুক, টিকটকই বলতে পারবে। তারা বাংলাদেশের সংবিধান, আইন মানবে কি না এবং নিজেদের যে গাইডলাইন আছে, সেটা তারা ঠিকমতো মেনে চলবে কি না, এসব নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা যদি এসে ব্যাখ্যা দিয়ে যায়, তখন সরকার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসবে।
মন্তব্য করুন