বৈশ্বিক স্মার্টফোন সরবরাহে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবার স্যামসাংকে পেছনে ফেলল অ্যাপল। ২০২৩ সালে স্মার্টফোন সরবরাহের দিক থেকে স্যামসাংকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করেছে অ্যাপল।
ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের (আইডিসি) ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইল ফোন ট্র্যাকার’ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজার বিশ্লেষক ক্যানালিসের প্রকাশিত তথ্যেও একই চিত্র দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, সরবরাহ (শিপমেন্ট) এবং বিক্রি এক বিষয় নয়। সরবরাহ অর্থ হচ্ছে শোরুম, ডিলার বা বিক্রেতার কাছে পণ্য পাঠানো। সরবরাহকৃত সব পণ্য বিক্রি নাও হতে পারে। তবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করে থাকে।
আইডিসির তথ্য মতে, গত বছর অ্যাপল বিশ্বে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে, আর স্যামসাংয়ের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটি ২২ কোটি ৬৬ লাখ ইউনিট।
শীর্ষ পাঁচটির মধ্যে বাকি তিন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে শাওমি, ওপো ও ট্রান্সশন। যাদের সরবরাহের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ, ১০ কোটি ৩১ লাখ ও ৯ কোটি ৪৯ লাখ ইউনিট। এই তিনটিই চীনা প্রতিষ্ঠান।
আইডিসি উল্লেখ করেছে, বৈশ্বিক স্মার্টফোন সরবরাহের দিক থেকে স্যামসাং টানা ১৩ বছর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল। ২০১০ সালের আগে এই মুকুট ছিল নোকিয়ার দখলে। সে সময় নোকিয়ার পরের স্থানে ছিল যথাক্রমে স্যামসাং, এলজি, জেটিই ও ব্ল্যাকবেরির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন মোশন।
অ্যাপলের কাছে স্যামসাংয়ের শীর্ষস্থান হারানোর ঘটনাকে প্রযুক্তি বিশ্বে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
স্যামসাংকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করলেও হুয়াওয়ে, অনার, ওয়ানপ্লাস ও গুগলের মতো অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে অ্যাপল।
ক্যানালিস জানিয়েছে, চীনে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে হুয়াওয়ে, যা দেশটির বাজারে অ্যাপলের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলতে পারে। হুয়াওয়ের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বিদেশ থেকে চিপ আমদানি করতে পারে না। তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের মেট ৬০ প্রো স্মার্টফোনে চীনা চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসএমআইসির তৈরি সেভেন ন্যানোমিটার চিপ ব্যবহার করেছে, যা স্মার্টফোনটিকে ফাইভজি সক্ষমতা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন