কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কেন কিনবেন আইফোন ১৬, যেসব কারণে সেরা এ মডেল

বিভিন্ন কালারের আইফোন। ছবি : সংগৃহীত
বিভিন্ন কালারের আইফোন। ছবি : সংগৃহীত

পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নতুন আইফোন বাজারে এনেছে অ্যাপল। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাপল স্টোরে মিলবে নতুন চারটি সিরিজের আইফোন। এগুলো হলো আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। এ সিরিজ নিয়ে আইফোনের ভিন্ন ভিন্ন ৯টি সিরিজ বাজারজাত করতে চলেছে অ্যাপল। এগুলোর কোনোটিকে কোনোটির সংস্করণও বলা হচ্ছে না।

বিজনেস টেকনোলজি নিউজ ওয়েবসাইট জেডডিনেটের সিনিয়র রিভিউ এডিটর কেরি ওয়ান ও এডিটর ইন চিফ জেসন হাইনার আইফোন ১৬ সিরিজ কেন সেরা তা নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। যেখানে ব্যবহারকারীদের জন্য বেশকিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কেন এ মডেল সেরা তাও তুলে ধরা হয়েছে

তারা জানিয়েছেন, আপনি যদি অ্যাপলের সর্বশেষ এবং সেরা সেবা পেতে চান তাহলে আমি ও আমার সহকর্মী জেসন হাইনার আপনাদের নিশ্চিন্তে আইফোন ১৬ কেনার পরামর্শ দিচ্ছি। প্রতিটি নতুন আইফোন হ্যান্ডস-অন ইম্প্রেশন দ্বারা গঠিত, এর মূল বৈশিষ্ট্যের ডেমো ও প্রতিটি মডেল বাজারজাত করার আগে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। আপনার একটি আইফোন ১৬ কেনা উচিত কিনা - এবং কোন মডেলটি আপনার সেরা সে জন্য আমরা বেশকিছু পরামর্শ তুলে ধরছি।

আইফোন ১৬ নেবেন নাকি ১৬ প্লাস?

জেডডি নেটের সিনিয়র রিভিউ এডিটর কেরি ওয়ান জানান, বেসলাইন আইফোনগুলো কখনই সবচেয়ে চটকদার ছিল না। তবে মূলধারার গ্রাহকদের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয় এবং এসব স্মার্টফোনগুলো ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে থাকে। একজন আইফোন মালিক গড়ে তিন থেকে চার বছর ধরে একটি ফোন ব্যবহার করেন। এ সার্কেল অনুসারে আইফোন ১৩ ( এবং এরচেয়ে পুরোনো মডেল) ব্যবহারকারীদের তিনটি বড় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। এগুলো হলো আগের সময় থেকে আরও ডাইনামিক জগতের দিকে ধাবিত হওয়া, সরাসরি সিমকার্ড থেকে ই-সিম ব্যবহার এবং লাইটনিং পোর্ট থেকে ইউএসবি-সি পোর্টে স্থানান্তর। বেশিরভাগ লোকের ক্ষেত্রে এ তিন পরিবর্তন অতিরিক্ত কার্যকারিতা, সুবিধা এবং আন্তঃকার্যযোগ্যতা নিয়ে আসতে পারে।

আপনি যদি আইফোন ১৪ অথবা ১৫ ব্যবহারকারী হন তাহলে আপনার আপগ্রেডের জন্য তিনটি কারণ বিবেচনা করা যেতে পারে। এগুলো হলো বিভিন্ন কাজের জন্য ডেডিকেটেড অ্যাকশন বাটন (যেমন, স্ক্রিনশট, সিরি শর্টকাট, ফোকাস মোড পরিবর্তন করা ইত্যাদি), নতুন টাচ-ক্যাপাসিটিভ ক্যামেরায় ডিএসএলআরের মতো আরও সুন্দর অভিজ্ঞতা এবং অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। এ ছাড়া হাডওয়্যারগত কারণেও, যার মধ্যে রয়েছে র‌্যামের পরিধি এবং প্রসেসিং পাওয়ার। আইফোন ১৬ সিরিজের আগের কোনো মডেলে বর্তমানের ফিচার যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইমপ্রুভড সিরি, নোটিফিকেশন সামারি, অডিও ট্রান্সক্রিপশন, ফটো-ভিডিও এডিটিং ফিচার চালানো সম্ভব নয়।

এতে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স বৈশিষ্ট্যগুলো আইফোন ১৬ বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যাবে না। তাই সর্বশেষ এআই টুল ব্যবহার করতে আপনাকে আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা করতে হবে। আপনি এখন কী পাচ্ছেন আর পরে কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আপনাকে দুবার ভাবতে হবে। আমার পরামর্শ হলো যে, আপনার ক্যারিয়ার আপনার আইফোন ১৪ বা ১৫ এর জন্য একটি উদার ট্রেড-ইন ডিল অফার না করলে, আপনাকে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে যে অ্যাপল তার এআই বিকাশের সঙ্গে কীভাবে অগ্রসর হয় এবং যদি কোনো বৈশিষ্ট্য থাকে তবে সেসবের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।

নতুন রঙ-ফাইভ বোল্ড এবং স্ট্রাইকিং ফিনিশ- কয়েক বছরের মধ্যে আমার দেখা অ্যাপলের সেরা উপহার। ইনসাইড আউট ২-এর কাস্টের চেয়ে এটি আরও বেশি ব্যক্তিত্ব বজায় রাখবে। আনুমানিক ডেলিভারির তারিখের ওপর ভিত্তি করে, আল্ট্রামারিন এবং টিল সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। ফলে আইফোন ১৬ নিতে চাইলে পছন্দের কালারের ওপর নির্ভর করে স্টকসাপেক্ষে দ্রুত লুফে নেওয়া উচিত। এ ছাড়া বেস কনফিগারেশনগুলোও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। ফলে ২৫৬ জিবি বা ৫১২ জিবি পছন্দ করলে আপনার কেবল অর্থের অপচয় ঘটতে পারে।

কেন নেবেন আইফোন ১৬ প্রো সিরিজ

জেডডিনেটের এডিটর ইন চিফ জেসন হিনার জানান, তিনি প্রথম আইফোনের প্রো সিরিজের প্রথম ভার্সন আইফোন ১১ প্রো মডেলগুলো ব্যবহার করছি। এ ছাড়া আমি আইফোনের বড় ‘ফ্যাবলেট’ সংস্করণগুলো ব্যবহার করেছি যেটি প্রথম আইফোন ৬ প্লাসের মাধ্যমে এসেছিল। সুতরাং আপনি আইফোন ১৬ প্রো বা আইফোন ১৬ প্রোস ম্যাক্স নিতে চাইলে আপনার জন্য আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে।

আপনি যদি আইফোন ১৩ প্রো বা প্রো ম্যাক্স (বা তার আগে) ব্যবহারকারী হন এবং আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ নিয়ে নিয়মিত সংগ্রাম করতে হয় তাহলে এটি আপনার জন্য নো-ব্রেইনার আপগ্রেট। এ ছাড়া এতে আরও বেশকিছু সুবিধা রয়েছে। ফলে আপনি চলতি বছরেই আইফোন ১৬ পাচ্ছেন। এ জন্য আপনার আইফোন ১৫ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি যদি এর পরেরটাও বিক্রি হয়। কেননা এটি আপনাকে আগামীর দিনগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দারুণ সুবিধা দেবে।

জেডডিনেটের এডিটর ইন চিফ জানান, আপনি যদি আইফোন ১৪ প্রো বা প্রো ম্যাক্স অথবা১৫ প্রো বা প্রো ম্যাক্স ব্যবহার করেন এবং আপনার ফোনটি পুরোপুরি ভালো কাজ করে, তাহলে আমি বলব আপনি থামুন এবং ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে নতুন কী আছে তা দেখুন। কেননা নতুন এ সিরিজ আগের সিরিজগুলোর সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে। আপনি আপনার বর্তমান ফোন থেকে খুব বেশিকিছু মিস করবেন না। আপনি যদি আইফোন ১৪ প্রো মডেলের ব্যবহারকারী হন এবং অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের সুবিধা নিতে চান- আইওস ১৮.১ এ আসবে। এর জন্য আইফোন ১৬ প্রো মডেলের একটিতে আপগ্রেড করলে পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য সর্বশেষ এআই বৈশিষ্ট্যগুলো পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পেয়ে যাবেন।

এ ছাড়া এটির বড় পবিবর্তন হলো আপনি যদি আপনার আইফোন দিয়ে অজস্র ফটো বা ভিডিও তোলেন এবং সত্যিই মোবাইল ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে আইফোন ১৬ প্রোর সিগনেচার ফিচার, নতুন ক্যামেরা কন্ট্রোলের জন্য এটি গেম-চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

আপনি যদি এমন হন এবং আপনি ১৪ বা ১৫ থেকে ১৬ প্রো বা প্রো ম্যাক্স-এ আপগ্রেড করেন, তাহলে আপনার অ্যাপলের আইফোন আপগ্রেড বা এটি অ্যান্ড টি এবং ভেরিজনের কোনো একটি প্রোগ্রামে যোগদান করার কথা বিবেচনা করা উচিত। এগুলো আপনাকে বাৎসরিক আপগ্রেড সুবিধা দেবে এবং অর্থ প্রদান করে আইফোন লিজের মতো করে সুবিধা নিতে পারবেন। এভাবে আপনার কাছে লেটেস্ট ক্যামেরা প্রযুক্তি থাকবে এবং লেটেস্ট এআই ফিচার চালানোর সুযোগ পান। প্রতি বছর বা দুই বছর আপগ্রেড করার তুলনায় আপনি দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন।

আইফোন ১৬ সিরিজের বিভিন্ন মডেলের পার্থক্য

আইফোন ১৬ এ রয়েছে ছয় দশমিক এক ইঞ্চির ডিসপ্লে আর ১৬ প্লাসে ছয় দশমিক তিন ইঞ্চির ডিসপ্লে। আর ১৬ প্রোতে ছয় দশমিক তিন ইঞ্চি এবং ১৬ প্রো ম্যাক্সে রয়েছে ছয় দশমিক ৯ ইঞ্চির ডিসপ্লে।

নতুন সিরিজের আইফোন ১৬ ও ১৬ প্লাসে এ১৮ প্রসেসর এবং ১৬ প্রো ও প্রো ম্যাক্সে এ১৮ প্রো প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ এবং ১৬ প্লাসে ১২৮, ২৫৬ এবং ৫১২ জিবি স্টোরেজ, ১৬ প্রোতে ১২৮, ২৫৬ এবং ৫১২ জিবি ও এক ট্যারাবাইট এবং ১৬ প্রো ম্যাক্সে ২৫৬ জিবি, ৫১২ জিবি এবং এক ট্যারাবাইট স্পেস রয়েছে। সবগুলোতে র‌্যাম রয়েছে আট জিবি।

ক্যামেরার দিক দিয়ে আইফোন ১৬ ও ১৬ প্লাসে ৪৮ মেগাপিক্সেল ফিউশন ক্যামেরা, ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা এবং টুএক্স অপটিক্যাল জুম সুবিধা। অন্যদিকে আইফোন ১৬ প্রো ও প্রো ম্যাক্সে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল ফিউশন ক্যামেরা, ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, ১২ মেগাপিক্সেল টেলিফটো (৫এক্স অপটিক্যাল জুম) সুবিধার ক্যামেরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিচ্ছেদের পর এই প্রথম এআর রাহমানের পোস্ট

লঘুচাপের শঙ্কা, এরপরই জেঁকে বসবে শীত

রংপুর জিলা স্কুল মাঠ নয়, মাহিগঞ্জ কলেজে হচ্ছে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ

ঢাকা লিগে নিষিদ্ধ ৮ ক্রিকেটারসহ ৯জন

মালয়েশিয়ায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

জীবননগরে সাবেক পৌর মেয়র গ্রেপ্তার

অ্যান্টিগায় মাঠে নামলেই রেকর্ড করবেন মিরাজ

ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি খালেদা জিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি আলালের

কনসার্ট শেষে মাঠ পরিষ্কার করল ঢাকা কলেজ ছাত্রদল

পটুয়াখালীতে শ্রমিকদল নেতা বহিষ্কার

১০

ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে কলকাঠি নেড়েছে সৌদি, বুশরা বিবির দাবি

১১

১৫ বছর পর আগুন…

১২

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

১৩

ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে : বাকৃবি উপাচার্য

১৪

চাকরি দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স 

১৫

ফ্যাসিবাদ নির্মূলে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান : আদিলুর

১৬

সেতু সংস্কারে ধীরগতি, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

১৭

লেবানন থেকে আরও ৮২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

১৮

জবি শিক্ষককে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি

১৯

আইপিএল নিলামের তালিকায় ফিরলেন আর্চার

২০
X