চারদিনের শ্বাসরুদ্ধকর তল্লাশির পর আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গেছে টাইটানের ধ্বংসস্তূপ। সমুদ্রের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে এ কঠিন কাজটি করেছে ফ্রান্সের রোবট ‘ভিক্টর ৬০০০’।
মূলত, ফ্রান্সের সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘ইফ্রেমার’ এ রোববটি ব্যবহার করে থাকে। রোবটটি সমুদ্রের ২০ হাজার ফুট বা ৬ হাজার মিটার গভীরে যেতে পারে, যাকে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর তাইতো টাইটানকে সমুদ্রের তলদেশে খুঁজে বের করতে কাজে লাগানো হয় এই রোবটটিকে।
নিয়ন্ত্রণকক্ষের নির্দেশমতো আশপাশে থাকা তার বা রশি কাটতে পারে রোবটটি। রোবটটিতে ছবি এবং ভিডিও ধারণের প্রযুক্তি থাকায় আশপাশের দৃশ্য নিখুঁতভাবে দেখা সম্ভব।
শানগেট কোম্পানি আটলান্টিক মহাসাগরের সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে পড়ে থাকা বিখ্যাত টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে যায়। এ জন্য জনপ্রতি তাদের গুনতে হয় বাংলাদেশি মুদ্রায় আড়াই কোটি টাকা।
১০০ বছরের বেশি সময় আগে ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় সেই সময়ের সর্ববৃহৎ জাহাজ টাইটানিক। জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে গত রোববার পর্যটকদের নিয়ে ডুব দিয়েছিল ডুবোযান টাইটান।
আটলান্টিকের গভীরে ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় টাইটানের সঙ্গে পানির ওপরে থাকা নিয়ন্ত্রক জাহাজ ‘পোলার প্রিন্সের’ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে চলছিল টাইটানের উদ্ধার অভিযান।
চার দিনের শ্বাসরুদ্ধকর তল্লাশি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানায়, ভয়ংকর বিস্ফোরণে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে টাইটান। আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গেছে টাইটানের ধ্বংসস্তূপ। তবে এর ভেতরের পাঁচ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড।
মন্তব্য করুন