টানা পাঁচ দিন দেশজুড়ে ইন্টারনেট না থাকায় আইটি-আইসিটি খাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। ক্ষতির ভয়াবহতা তুলে ধরে আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি বলছে, এতে চাকরি হারাতে পারে প্রায় ৩০ শতাংশ জনবল। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংগঠনটি। এ সময় বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা এবং দেশের আইসিটি খাতের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, এই কয়দিনে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের। বৈদেশিক গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আর যোগাযোগ করলেও, তাদের তো সার্ভিস নিতে হবে। সেই সার্ভিস বাংলাদেশ থেকে নিতে না পারলে তারা অন্য কোথাও যাবে, সেটাই স্বাভাবিক। চলে গেলে আন্তর্জাতিক এই বাজারটা হারাব আমরা। তিনি বলেন, বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বাজার থেকে রপ্তানি আয় হয় এই খাতে। এই পুরো বাজারটাই আমরা হারাতে পারি।
দেশীয় আইসিটি খাতে কর্মরতদের মধ্যে ৩০ শতাংশ জনবলের চাকরি হারানোর আশঙ্কা করে বেসিস সভাপতি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক গ্রাহক হারালে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ থুবড়ে পড়বে। এরই মধ্যে কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ থেকে আমাদের গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যেন তারা বাংলাদেশের বদলে তাদের দেশ থেকে আইটি-আইসিটি সেবা নেন। আর এমনটা হলে বাধ্য হয়েই কর্মী হ্রাসের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ নিতে হবে উদ্যোক্তাদের।
বেসিসের এক পরিচালক কালবেলাকে বলেন, আইসিটি খাতের বিদেশি গ্রাহকদের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের তিনটি ধাপের জন্য ‘সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট’ বা এসএএল চুক্তি থাকে। চুক্তিতে উল্লেখ থাকে যে, প্রথম ধাপে ২৪ ঘণ্টা যাবত যদি কোনো ধরনের সেবা তাদের দেওয়া না যায়, তাহলে সেবার বিপরীতে নির্ধারিত মূল্যের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত তারা কেটে রাখতে পারেন। বাকি দুটি ধাপেও সেবা-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধান থাকে। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
মন্তব্য করুন