কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সমুদ্রের নিচ দিয়েই আসে ইন্টারনেটের ডাটা!

ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যম সাবমেরিন ক্যাবল টানা হয় সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে। ছবি : সংগৃহীত
ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যম সাবমেরিন ক্যাবল টানা হয় সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে। ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন কাজ প্রায় অসম্ভব। প্রতিটি কাজেই এর ব্যবহার যেন আবশ্যকীয়। তবে এই ইন্টারনেট ব্যবহার পদ্ধতি জানলেও অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে, কীভাবে এই ইন্টারনেট সংযোগ আমাদের কাছে পৌঁছায়।

আমরা অনেকেই জানি না আমাদের বহূল ব্যবহৃত এই ইন্টারনেটের তথ্য সমুদ্রের নিচে থাকা সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কীভাবে প্রেরণ করা হয়। বলা হয়ে থাকে আজ পর্যন্ত সমুদ্রের নিচে এত পরিমাণে ক্যাবল সংযোগ করা হয়েছে যে, তা দিয়ে ২ বার চাঁদকে পেঁচানো যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ইন্টারনেটের সংযোগ কোনো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নয়, বরং সমুদ্রের নিচে বিছানো ক্যাবল দিয়ে স্থানান্তরিত করা হয়ে থাকে।

সমুদ্রের নিচে বিছানো এই ক্যাবলগুলো উপর থেকে রাবারের মতো দেখালেও এরমধ্যে রয়েছে আমাদের চুলের চেয়েও পাতলা তারের গুচ্ছ। এই সুক্ষ্ম তারের গুচ্ছগুলোই দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে থাকে। ভারতের টাটা কমিউনিকেশন্স কোম্পানি এই সাবমেরিন ক্যাবল বিছানোর কাজ করে থাকে।

সমুদ্রের নিচে থাকা এই ক্যাবলগুলোর ক্ষতির একমাত্র কারণ হলো সমুদ্রের নিচে থাকা হাঙর। কেননা এরা এই তারগুলো অনেকসময় কামড়ে খেয়ে ফেলে। এর ফলে এই ক্যাবলগুলো মেরামত করতে প্রচুর খরচ হয়। এই ক্যাবলগুলো বিছানোর কাজ বেশ জটিল প্রক্রিয়ার একটি।

প্রথমে জাহাজে বড় বড় রোলারের মত করে তারগুলোকে প্রস্তুত করে নেওয়া হয়। এরপর ক্রেনের সাহায্যে এসব ক্যাবলগুলোকে সমুদ্রের নিচে নামানো হয়। জাহাজ যখন সামনে এগুতে থাকে তখন ক্রেন থেকে ধীরে ধীরে তারগুলোকে পানিতে ছাড়া হয়। এভাবেই সমুদ্রের নিচে ক্যাবলগুলোকে বিছানো হয়। আর এই প্রক্রিয়ার পরই মহাদেশ থেকে মহাদেশে ইন্টারনেটের তথ্য স্থানান্তর করা হয়।

এই ক্যাবলগুলো যেন সমুদ্রের নিচে সুরক্ষিত থাকে এবং দীর্ঘদিন কাজ করে তাই বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। ক্যাবলগুলোর উপরে শক্ত আবরণ দেওয়া থাকে যাতে সমুদ্রের নিচে থাকা হাঙর কিংবা অন্যান্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে।

ক্যাবলগুলো কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিশেষ জাহাজ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো মেরামত করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি মূলত বেশ ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। কিন্তু তারপরও এসবের ফলেই আমরা অত্যন্ত সহজ এবং দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট সেবা পেয়ে থাকি। এই প্রযুক্তির ফলেই আমরা নানা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি, যা আমাদের জ্ঞানকে আরও প্রসারিত করতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাভার্ডভ্যান চুরি করে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি, গ্রেপ্তার ৩

নসরুল হামিদের ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট জব্দ, ৭০ অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ

বাবর-রিজওয়ানদের জন্য আবারও নতুন কোচের সন্ধানে পিসিবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি ইরান!

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

ধর্ষণের পর বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তেলাপোকা-কৃমি-কেঁচোতে আক্রান্ত : ব্যারিস্টার ফুয়াদ 

নারী বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান

‘হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে’

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

১০

আনন্দ-উল্লাসে আবুধাবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

১১

জ্বালানি খাতে ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছে সরকার

১২

নারী পোশাক শ্রমিককে গলাকেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

১৩

খুলনায় আ.লী‌গের ঝটিকা মিছিল, নেতাকর্মীদের খুঁজছে পুলিশ

১৪

মানুষের চোখে কখনো দেখা যায়নি এই রং, দাবি বিজ্ঞানীদের

১৫

সিলেটে টেস্ট / প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ভালো শুরু, তবে বৃষ্টির হানা

১৬

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি এখন জিয়া মঞ্চের সভাপতি

১৭

তাহলে কি ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আনচেলত্তি?

১৮

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বিএনপি

১৯

এখনো খোঁজ মেলেনি অপহৃত সেই ৫ শিক্ষার্থীর

২০
X