কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারখানায় ঘাস তৈরি, প্রযুক্তির এক নতুন উদ্ভাবন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাপক উন্নতি সাধন করছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনা যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রযুক্তিগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, শিল্প এবং যোগাযোগে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে চিকিৎসা নির্ণয় এবং রোবটিক্সে উন্নয়ন হয়েছে, যা রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা বাড়িয়েছে। এ ছাড়া ডিজিটাল নেটওয়ার্কের উন্নয়ন বিশ্বের মধ্যে দ্রুততর এবং আরও সুসংহত যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে।

প্রযুক্তিতে এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ঘাস তৈরির নতুন প্রক্রিয়া। প্রাণীর প্রধান খাদ্য হিসেবেই এই ঘাস বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এবার প্রাণীর এ প্রধান খাদ্য নিয়েই আবিষ্কার করা হলো নতুন উদ্ভাবন, ফ্যাক্টরিং ঘাস।

বর্তমানে পশুদের জন্য যেসব প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে এর মধ্যে ফ্যাক্টরি পদ্ধতিতে ঘাস উৎপাদন অন্যতম। এই ঘাস প্রাকৃতিক ঘাসের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর এবং উৎপাদনেও বেশ সহজ। জানা গেছে, উন্নত মানের প্রযুক্তির সাহায্যে এই প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়।

বর্তমানে পশুদের খাদ্য হিসেবে এটি বহুল ব্যবহৃত বলে দিন দিন এটির পরিচিতি বাড়ছে। গবাদি পশুর খাদ্য এই ফ্যাক্টরিং ঘাস উচ্চগুণ সম্পন্ন হওয়ায় প্রাকৃতিক ঘাসের বিকল্প হয়ে উঠছে। অনেকের কাছে তাই এ ঘাসের মূল্য প্রাকৃতিক ঘাসের চেয়ে কম নয়।

এই ঘাস উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি মূলত শুরু হয় প্রায় ৫০ কেজি বার্লির বীজ বপন করে। প্রথমেই এই বীজগুলোকে দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় যেন এতে থাকা আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং এসব বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। এরপর এই বীজগুলোকে একটি বিশেষ ট্রেতে ছড়িয়ে দিলে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, আলো ইত্যাদি সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ট্রেতে থাকা ডিজিটাল নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে রাখা হয়। এসব পদ্ধতি অনুসরণ করার পর বীজগুলো ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

কেবল মাত্র প্রাকৃতিক ঘাসের ওপর নির্ভর না করায় এই পদ্ধতিতে ঘাস উৎপাদন করায় অনেক সময়েই এবং অধিক পরিমাণে ঘাস উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে এই প্রযুক্তি। অঙ্কুরিত বীজগুলো ঘাসে পরিণত হলে তা পশুদের খাওয়ার উপযুক্ত হয়। অঙ্কুরিত হওয়ার পরই এর মধ্যে সকল পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং ৭ দিন পর এসব ঘাস কাটার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

এই ঘাস পশুদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য হওয়ায় পশুদের শারীরিক বিকাশে এর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জানা গেছে, প্রাকুতিক ঘাসের তুলনায় এই ঘাসে অধিক পরিমাণে প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন থাকে যা পশুদের জন্য বেশ জরুরি। প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন ঘাসের মতো এই ঘাসের জন্য মাটির উর্বরতা, পরিবেশ ইত্যাদির কথা চিন্তা করে এই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে অনেকেই। পশু পালনে এই পদ্ধতি বেশ লাভজনকও বটে। নানান চ্যালেঞ্জের দিকে আর ভাবতে হবে না বলে অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি বলে বিশ্বাস করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আকিজ বশির গ্রুপে ইন্টার্নশিপের সুযোগ

১৮ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, সিরিজ খেলবে না আফগানিস্তান

নড়াইলে সাড়ে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

মালদ্বীপে হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রবাসী নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত

জুলাই সনদে সই না করা রাজনীতিকদের প্রতি সালাহউদ্দিন আহমদের বার্তা

পটুয়াখালীতে কালবেলার তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপিত

‘ছাত্রশিবিরের বিজয় ইসলাম, মানবতা ও দেশপ্রেমের জয়’

নুরুদ্দিন অপুকে কাছে পেয়ে নেতাকর্মীরা আবেগাপ্লুত

১০

আসছে অদ্ভুুত সব নিয়ম নিয়ে ক্রিকেটের নতুন ফরম্যাট টেস্ট টোয়েন্টি

১১

আফগানিস্তানে আবারও পাকিস্তানের বিমান হামলা

১২

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড

১৩

দূরন্ত গতিতে ছুটছে নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্স

১৪

সিনিয়রদের পথে হাঁটতে ব্যর্থ প্রীতিরা

১৫

নিজেদের স্বার্থে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

১৬

পাবনায় কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

১৭

চরফ্যাশনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১৮

নারায়ণগঞ্জে আবু জাফর আহমদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১৯

গাইবান্ধায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

২০
X