মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুজনকে হত্যা করেছে এক কিশোর। এ ঘটনায় শাস্তি দিয়েছেন আদালত। তবে শাস্তি হিসেবে তাকে রচনা লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২২ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিচার বিভাগ এমন সাজা দিয়েছেন। ফলে বিচার বিভাগের নমনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া জনগণের মাঝে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ ওই কিশোরের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
ভারতের মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রে ফাদনাভিস বলেন, রোববার পুনেতে বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি চালাচ্ছিল ১৭ বছরের এক কিশোর। একপর্যায়ে সে একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় দুজন নিহত হয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরকে কারা হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর তাকে জুভেইনাল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে সে জামিনে মুক্তি পায়। তবে অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তাকে ১৫ দিনের সমাজসেবা ও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে রচনা লিখতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের এমন রায়ের পর ক্ষোভ বাড়তে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরের বয়স ১৭ বছর ৮ মাস। এটি নৃশংস অপরাধ।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতে ২০১৫ সালে কিশোর আইনে পরিবর্তন করা হয়। ওই আইন অনুসারে, ১৬ বছরের বেশি বয়সের কিশোরদের নৃশংস অপরাধ করলে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিচার করা যাবে। আইনের এ বিষয়টি উল্লেখ করে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটি অবাক করা আদেশ। জামিনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আবেদনের কথাও জানান তিনি।
পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানান, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ায় কিশোরের বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া যারা মদ সরবরাহ করেছিলেন তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেছি। নিহতদের ন্যায়বিচার ও অভিযুক্তের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করব।
মন্তব্য করুন