অন্তঃসত্ত্বা হয়ে বাপের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছেন স্ত্রী। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। স্বামীর কাছে এভাবেই জানানো হয়েছে ঘটনা। কিন্তু এরপরের ঘটনা জেনে হতবাক স্বামী। অন্যের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন নিজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগামধ্যমে এমন ছবি দেখে থানায় হাজির হয়েছেন স্বামী।
শুনতে অবাক বা অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদামাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এমন ঘটনা জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রী নিরুদ্দেশ হওয়ায় তাকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান যুবক। বাপের বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন স্ত্রী। এভাবে জেনেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘাটছিলেন। আর তাতেই হতবাক হয়ে যান তিনি। ভেসে আসে নিজের স্ত্রীর বিয়ের ছবি। অথচ নিজেই তাকে খুঁজে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন। বিচিত্র এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে।
ইনস্টাগ্রামে ঘুরছিলেন কর্নাটকের যুবক প্রশান্ত। আর সেখানেই স্ত্রী স্নেহার বিয়ের ছবি দেখেন। অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ের আসরে বসেছেন তিনি। অথচ মাস তিনেক আগে অন্তঃসত্ত্বা বলে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ স্নেহা।
গত ২১ ডিসেম্বর নিজের স্ত্রী নিখোঁজ বলে দাভাঙ্গেরের কেটিজে নগর থানায় অভিযোগ করেন প্রশান্ত। এর কয়েকদিন পরই স্ত্রীর বিয়ের ছবি দেখে হতবাক হয়ে পড়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে প্রশান্ত জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বাপের বাড়ি চলে যান স্নেহা। সেখানে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাত করিয়েছেন তিনি। নিজের অন্য কারো বিয়ে করার জন্য এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন, এসব নিয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি। দেড় বছরের বিবাহিত জীবন ছিল আমাদের। আমাকে না জানিয়ে স্নেহা এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি ভেঙে পড়েছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচয় হয় স্নেহা-প্রশান্তের। এরপর প্রেম করেন তারা। অতঃপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রশান্তের আগে আরও দুজনকে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে রঘুর সাথে বেঙ্গালুরু রয়েছেন স্নেহা। আর তিনি মান্ডা জেলার নারাহাল্লির বাসিন্দা।
প্রশান্তের অভিযোগ, আমার আগে আরও দুই বিয়ে করেছিলেন স্নেহা। কিন্তু বিষয়টি আমার কাছে গোপন করা হয়। এবারের বিয়ের ঘটনা সামনে আসায় তার পরিবারের এক ব্যক্তি সম্প্রতি বিষয়টি আমাকে জানায়।
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভীষণ সক্রিয় স্নেহা। যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতরণা করে আসছেন তিনি। এ ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করেছেন প্রশান্ত। অন্য কারও যাতে আর তার মতো করে প্রতারিত না হতে হয় এজন্য থানায় গিয়েছেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন