সমস্যা সমাধানে পুলিশের সহায়তা চেয়ে ফোন করেছেন এক নারী। এরপর পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেছে ওই নারীর। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও আইনজীবীদের বরাতে ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পুলিশের জরুরি সেবা নম্বরে ওই নারী ফোন করে সহায়তা চেয়েছিলেন। এ সময় তিনি নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ জানান। অতঃপর পুলিশের গুলিতেই ওই নারী প্রাণ হারান।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর নিয়ানি ফিনলেসন নামের এক নারী পুলিশে ফোন করেন। ওই সময়ে তিনি বলেন, তার বয়ফ্রেন্ড তাকে ছেড়ে যাচ্ছে না। এরপর ফোনে ধস্তাধস্তির আওয়াজ শোনা যায়। এমনকি পুলিশ তার অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছালে তখনো চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
ওই নারীর পারিবারিক আইনজীবী জানিয়েছেন, ফিনলেসন তার ৯ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভেতরে ছিলেন এবং তার সাবেক প্রেমিকের দ্বারা আহত হয়েছিলেন। এরপর তিনি তাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তবে আসল ঘটনা কি ঘটেছিল সেটা জানার জন্য কর্তৃপক্ষ সিটিটিভি ফুটেজ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ফলে ঘটনার বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
এলএএসডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিনলেসনের হাতে তখন ছুরি ছিল এবং সে তার বয়ফ্রেন্ডকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ সময় পুলিশের ডেপুটি টাই শেলটন তার ওপর গুলি করেন। পরিবারের দাবি, ওই নারী ভিক্টিম ছিলেন। তার সহায়তার প্রয়োজন ছিল। সে পুলিশের জন্য হুমকির কারণ ছিল না। তার শরীরে একাধিক গুলি করা হয়েছিল।
ফিনলেসন দুই সন্তানের মা ছিলেন। তার মেয়ে জাইসা এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সে জানায়, পুলিশ মিথ্যা বলছে। তার মা তাদের হুমকি দিচ্ছিলেন না। নিজের দাদির সাথে সংবাদ সম্মেলনে সে পুলিশের বিরুদ্ধে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
রেকর্ড বলছে, পুলিশের এই ডেপুটির বিরুদ্ধে তিন বছর আগেও একই ধরনের অভিযোগ ছিল। ওই সময়ে তিনি এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।
মন্তব্য করুন