ডিম পাড়বে কচ্ছপ, আর তার জন্যই বন্ধ থাকবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। আজব লাগলেও এমনই এক ঘটনা ঘটতে চলেছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কচ্ছপের ডিম দেওয়ার মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এ সময়ের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অবিশ্বাস্য এমন ঘোষণা দিয়েছে ভারতের প্রধান সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। ওড়িশা উপকূল ও দ্বীপজুড়ে কচ্ছপের বংশবিস্তারের জন্য এ ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবছর পাঁচ লাখ কচ্ছপ ভারতের এ দ্বীপটিতে প্রজননের জন্য আসে। এ সময়ে মানুষের চলাচল, যান্ত্রিক নৌকা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এসব প্রাণীর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এজন্য সামরিক প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
মৌসুমের এ সময়ে যাতে কচ্ছপের প্রজনন বাধাগ্রস্ত না হয় এ জন্য সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড টহল অব্যাহত রাখবে। এ এলাকায় চলাচল করা মাছ ধরার নৌকাকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে তারা সেখানে নজর রাখবে।
ওড়িশার মুখ্যসচিব পিকে জেনার নেতৃত্বে একটি কমিটি শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়কে কচ্ছপের ডিম দেওয়ার মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময়ে জীবরক্ষার জন্য ওড়িশা উপকূলকে মুক্ত রাখা হয়েছে। দেশটিতে কচ্ছপকে খাবার ও তেলের জন্য শিকার করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ডিমকে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ভারতের প্রধান বন সংরক্ষক সুশান্ত নন্দ বলেন, কচ্ছপের ডিম দেওয়ার এলাকাটি দ্বীপের নিকটতম এলাকায়। যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য আলোর ঝলকানি ও ব্যাপক আওয়াজ সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব কচ্ছপ বিচ্যুত হয়ে যায়।
এ ছাড়া প্রতি বছর ৬ দশমিক ৬ লাখ কচ্ছপ গঞ্জাম জেলার রুশিকুলায় ডিম ছাড়ার জন্যে আসে। ওড়িশার প্রাদেশিক সরকার এ অঞ্চলে ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ের জন্য সকল ধরনের মাছ শিকারকে নিষিদ্ধ করেছে।
মন্তব্য করুন