ডিম আগে নাকি মুরগি আগে তা নিয়ে বিতর্কটা বেশ পুরনো। তবে এবার সামনে এসেছে নতুন বিতর্ক। মুরগি পশু, নাকি পাখি তা নিয়ে বিতর্ক পৌঁছেছে আদালতে।
মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুরগির শ্রেণিবিভাগ জানতে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক ব্যক্তি। তার আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। একজন দাবি করেছেন, মুরগী পাখির অন্তর্ভুক্ত।
২০২৩ সালে প্রাণী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং অহিংসা মহাসংঘের পক্ষ থেকে দোকানে মুরগির মাংস নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। গুজরাটের হাইকোর্টে আবেদনকারীরা জানান, যে কোনো প্রাণীর প্রাণ আছে। খাদ্য ও সুরক্ষা আইন অনুসারে ২০০৬ অনুসারে মাংসের দোকানে জীবন্ত প্রাণী রাখার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়া এবং নিরাল মেহতার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদালতের জবাবে সরকারি আইনজীবি মনীষা লাভকুমার জানান, মুরগি কখনো পাখি নয়, সেটি পশু।
এদিন মামলা ওঠে বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়া এবং নিরাল মেহতার ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের জবাবে সরকারি আইনজীবি মনীষা লাভকুমার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মুরগি কখনোই পাখি নয়, সেটি পশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈজ্ঞানিকভাবে মুরগি পশু এবং পাখি দুটোই। এটি সাধারণত অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্গত। উদ্ভিদ, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার মতো অণুজীব ছাড়া সব প্রাণী এ ধরনের অন্তর্ভুক্ত। মুরগি পাখি হলেও এটি এভিসের অধীনে রয়েছে। সাধারণত প্রাণিজগতের মধ্যে একটি উপ-শ্রেণিবিভাগ।
আদালতে এ বিষয়ের চূড়ান্ত সুরাহা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, মুরগি পশু নাকি পাখি সেই বিতর্কে যাওয়ার আগে বরং মুরগির মাংস খান।
মন্তব্য করুন