মালিকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পোষা ছাগল জোরপূর্বক বিক্রি ও জবাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১১ বছরে বয়সী এক মেয়ের পোষা ছাগল জোরপূর্বক বিক্রি ও জবাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শেরিফ অফিসতে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমারা করা হয়েছে।
গত ১ নভেম্বর দেশটির একটি আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০২২ সালে সিডার নামের একটি ছাগল পালন করে ওই মেয়ে। এরপর ছাগলটিকে শাস্টা ডিস্ট্রিক্ট ফেয়ারে কম বয়সী গবাদিপশুর নিলামে তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে মেয়েটি তার ছাগল নিলামে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে নিলাম নথি থেকে ছাগলটি বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তবে কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেন যে নাম প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।
মেয়েটির মা জানান, আপ্রাণ চেষ্টার পরও তারা ছাগলটি নিজেদের কাছে রাখতে পারেননি। এজন্য তারা ছাগল বিক্রি ও জবাইয়ের জন্য শেরিফের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে মামলা করেন। এমনকি তারা ছাগলটিকে নিজেদের কাছে রাখতে ৩২০ কিলোমিটার দূরে সোনোমা কাউন্টির একটি খামারে নিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাগল ফেরত না দিলে শাস্টা ডিস্ট্রিক্ট ফেয়ারের প্রধান নির্বাহী বি জে ম্যাকফারলেন বড় চুরির অভিযোগ আনার হুমকি দেন। পারে শেরিফের দুজন ডেপুটি খামারে গিয়ে ছাগলটি আটক করে নিয়ে আসেন।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, খামারে তল্লাশি করার বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের তল্লাশি এবং এটিকে জব্দ করার কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না।
নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, পরিবারের অনুরোধকে উপেক্ষা করে ছাগলটিকে ৯০২ ডলারে বিক্রি করা হয়েছিল। মূলত মাংসের জন্য এটিকে বিক্রয় করা হয়। পরে ছাগলটিকে জবাই করা হয়।
মন্তব্য করুন