ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের যে গ্রামে বাস করেন মাত্র ৪ জন

গ্রামের একমাত্র বাড়ি। ছবি : কালবেলা
গ্রামের একমাত্র বাড়ি। ছবি : কালবেলা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সবচেয়ে ছোট গ্রামের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার ৮ নম্বর রাজীবপুর ইউনিয়নে এ গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামের নাম উমানাথপুর। এখানে বাস করেন মাত্র চারজন।

ব্যতিক্রমী এ গ্রামের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্থানীয় আশপাশের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া জানেন না বেশিরভাগ এলাকার মানুষ। বিচিত্র এ গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে ভূমি মানচিত্রেও। উমানাথপুর নামে রয়েছে আলাদা মৌজাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজীবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উমানাথপুর গ্রাম। গ্রামটিতে রয়েছে একটি মাত্র বাড়ি, যেখানে বসবাস করে একটিমাত্র পরিবার। বাড়িটি দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের (৭৫)। মাত্র ২৫ শতক জমির ওপর নির্মিত এ বাড়িতে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, আছে একটি পুকুর ও একটি টয়লেট।

অন্যের জমির আইল দিয়ে এ বাড়িতে যেতে হয়। আর এ বাড়ি ঘিরেই গঠিত হয়েছে ‘উমানাথপুর’ গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ। আশপাশে গ্রামের মধ্যে রয়েছে- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর গ্রাম। সম্প্রতি এ গ্রামের একমাত্র বাড়ির কর্তা দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের ছেলে শরীফুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। এরপর এ গ্রামের কথা জানাজানি হয়।

পাশের রামগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক পারভেজ বলেন, একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রাম। কয়েক যুগ আগেই এ গ্রাম গড়ে উঠেছে। বাপ-দাদাদের আমল থেকেই আমরা এ গ্রামের অস্তিত্ব দেখে আসছি। জমির কাগজপত্রে এ গ্রামের অস্তিত্ব আছে। এ বাড়িতে আসার একমাত্র রাস্তাটা সংস্কার করে প্রশস্ত করে দিলে বাড়িতে থাকা মানুষদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি প্রশস্ত করার দাবি জানাই।

বাড়ির কর্তা সিরাজ সরকার (৭৫) কালবেলাকে বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী সরকার ও তার পূর্বপুরুষরা এ বাড়িটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ গ্রামে মোট জমির পরিমাণ ছয়/সাত একর। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি পরিবার নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করি। আমাদের পরিবারের মোট সদস্য বর্তমানে চারজন। এর মধ্যে নাতি ছাড়া আমি, আমার স্ত্রী ও এক পুত্রবধূ ভোটার। এ গ্রামের জেএল নম্বর ১১৬। তবে আমার বোনেরা বসবাস করেন বাড়ির পেছনে অন্য গ্রামে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, উমানাথপুর গ্রামটি আমাদের ঈশ্বরগঞ্জের সম্পদ। আমরা ইতোমধ্যে গ্রামটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অতিদ্রুত গ্রামে ভালোভাবে যাতায়াত করার জন্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার উন্নয়নে কাজ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করলে শিল্পাঞ্চলে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরবে না’

স্বপ্ন-তে ১৬০ টাকায় গরুর মাংস-আলু মিক্স কম্বো!

চাঁদাবাজির সময় সেনাবাহিনীর হাতে বিএনপির ৪ সমর্থক আটক 

জানা গেল বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের কারণ

আহত শামীমার দিন কাটছে ভীষণ অভাবে আর কষ্টে

আফ্রিকা ভ্রমণ আগ্রহীদের জন্য সুখবর

কাকরাইলে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

যথা সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করায় ঠিকাদারকে পুরস্কার

নতুন কোচ পেল ম্যানইউ

চার শতাধিক নেতাকর্মীসহ জাপা নেতার পদত্যাগ

১০

সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১১

ভারতে পালানোর সময় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

চোখ নয়, মনের আলো দিয়ে চলেন মিজান

১৩

মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ঘোষণা

১৪

সাবেক গৃহায়ন মন্ত্রীর ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ

১৫

আ.লীগের করা ৪টি নির্বাচনই অবৈধ : দুলু

১৬

নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা বিবেক দেবরায়ের মৃত্যু

১৭

দরকারি চ্যাট খুঁজে পেতে হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার

১৮

সাইবার হামলার আশঙ্কা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা

১৯

ডিভোর্সের পর প্রেমে মজেছেন মধুমিতা

২০
X