বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের যে গ্রামে বাস করেন মাত্র ৪ জন

গ্রামের একমাত্র বাড়ি। ছবি : কালবেলা
গ্রামের একমাত্র বাড়ি। ছবি : কালবেলা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সবচেয়ে ছোট গ্রামের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার ৮ নম্বর রাজীবপুর ইউনিয়নে এ গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামের নাম উমানাথপুর। এখানে বাস করেন মাত্র চারজন।

ব্যতিক্রমী এ গ্রামের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্থানীয় আশপাশের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া জানেন না বেশিরভাগ এলাকার মানুষ। বিচিত্র এ গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে ভূমি মানচিত্রেও। উমানাথপুর নামে রয়েছে আলাদা মৌজাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজীবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উমানাথপুর গ্রাম। গ্রামটিতে রয়েছে একটি মাত্র বাড়ি, যেখানে বসবাস করে একটিমাত্র পরিবার। বাড়িটি দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের (৭৫)। মাত্র ২৫ শতক জমির ওপর নির্মিত এ বাড়িতে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, আছে একটি পুকুর ও একটি টয়লেট।

অন্যের জমির আইল দিয়ে এ বাড়িতে যেতে হয়। আর এ বাড়ি ঘিরেই গঠিত হয়েছে ‘উমানাথপুর’ গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ। আশপাশে গ্রামের মধ্যে রয়েছে- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর গ্রাম। সম্প্রতি এ গ্রামের একমাত্র বাড়ির কর্তা দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের ছেলে শরীফুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। এরপর এ গ্রামের কথা জানাজানি হয়।

পাশের রামগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক পারভেজ বলেন, একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রাম। কয়েক যুগ আগেই এ গ্রাম গড়ে উঠেছে। বাপ-দাদাদের আমল থেকেই আমরা এ গ্রামের অস্তিত্ব দেখে আসছি। জমির কাগজপত্রে এ গ্রামের অস্তিত্ব আছে। এ বাড়িতে আসার একমাত্র রাস্তাটা সংস্কার করে প্রশস্ত করে দিলে বাড়িতে থাকা মানুষদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি প্রশস্ত করার দাবি জানাই।

বাড়ির কর্তা সিরাজ সরকার (৭৫) কালবেলাকে বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী সরকার ও তার পূর্বপুরুষরা এ বাড়িটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ গ্রামে মোট জমির পরিমাণ ছয়/সাত একর। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি পরিবার নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করি। আমাদের পরিবারের মোট সদস্য বর্তমানে চারজন। এর মধ্যে নাতি ছাড়া আমি, আমার স্ত্রী ও এক পুত্রবধূ ভোটার। এ গ্রামের জেএল নম্বর ১১৬। তবে আমার বোনেরা বসবাস করেন বাড়ির পেছনে অন্য গ্রামে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, উমানাথপুর গ্রামটি আমাদের ঈশ্বরগঞ্জের সম্পদ। আমরা ইতোমধ্যে গ্রামটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অতিদ্রুত গ্রামে ভালোভাবে যাতায়াত করার জন্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার উন্নয়নে কাজ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদের ছুটিতে সিলেটে পর্যটকের ঢল, খুশি ব্যবসায়ীরা

টিকিটে ২০ টাকা বেশি রাখায় জরিমানা ৫০ হাজার

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন : প্রেস সচিব

বনিবনা হচ্ছে না ট্রাম্প-পুতিনের, কোন দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি?

ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতিসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার

টিকিটের মূল্য বেশি রাখায় ৪ পরিবহনকে জরিমানা

ঈদের দিন কথাকাটাকাটি, দুদিন পর সংঘর্ষে জড়াল এলাকাবাসী

৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পেল ২০ শিশু-কিশোর

মার্চে ছড়িয়ে পড়েছে ২৯৮ ভুয়া তথ্য

মাদক ও অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আটক

১০

উপবৃত্তির টাকা দুর্নীতিবাজ শিক্ষকরা মেরে দিচ্ছেন : উপ-প্রেস সচিব

১১

ইউনূস-মোদির বৈঠকের ব্যাপারে আশাবাদী : পররাষ্ট্রসচিব

১২

সংঘাতের রাজনীতি কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না : হান্নান মাসউদ

১৩

কারাগারে ছাত্র আন্দোলনে হামলার আসামির মৃত্যু

১৪

আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকার একা নিতে পারে না : তথ্য উপদেষ্টা

১৫

বাংলাদেশকে ভেঙে সমুদ্রপথ নিয়ে নেওয়ার হুমকি

১৬

চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক, অতঃপর...

১৭

সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো শাকিবের সিনেমা

১৮

ভাতিজাকে কুপিয়ে মারল চাচা

১৯

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

২০
X