কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘরের ছাদে বাস ১ লাখ ৮০ হাজার মৌমাছির

মৌমাছির চাক। ছবি : সংগৃহীত
মৌমাছির চাক। ছবি : সংগৃহীত

বাসার ভেতরে হাজার হাজার মৌমাছি। তা–ও আবার শোয়ার ঘরের ছাদে। ওই বাড়ির ভেতরে এখন পর্যন্ত তিনটি মৌচাক পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘরের ছাদের প্লাস্টারবোর্ডে এসব মৌমাছি বাসা বানিয়েছে। মৌচাকে রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মৌমাছি।

স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস শহরের এই বাড়িটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বাড়ির মালিকের নাতি বিবিসিকে জানান, অনেক দিন ধরেই রাতের বেলায় ঘরের ভেতর তারা গুনগুন শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি চাকে প্রায় ৬০ হাজার মৌমাছি রয়েছে।

ইতোমধ্যেই মৌমাছি চাষ করে এমন প্রতিষ্ঠান লচ নেস হানি কোম্পানিকে এসব মৌমাছির চাক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন বাড়ির মালিক। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৌমাছির চাক অন্যত্র সরিয়ে নিতে কয়েক সপ্তাহ এসব চাক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী বছর এসব চাক থেকে মধু উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এসব মৌচাকের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে লচ নেস হানি কোম্পানি। সেই ভিডিওতে একটি বিরাট মৌচাকে হাজার হাজার মৌমাছিকে উড়তে, নড়াচড়া করতে দেখা যায়। কোম্পানির দক্ষ কর্মীদের ধারণা, বাড়ির ভেতরে থাকা তিনটি মৌচাকের একটি মৌচাক প্রায় সাত বছরের পুরোনো। বাকি দুটি গত কয়েক বছরের মধ্যে তৈরি হয়েছে। তবে তিনটি মৌচাকই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বড়।

লচ নেস হানি কোম্পানির মালিক অ্যান্ড্রু কার্ড জানান, ঘরের প্লাস্টারবোর্ডের ভেতরে যে পরিমাণ মৌমাছি রয়েছে, তা তিনি ধারণাও করেননি। তিনি জানান, প্রথমে মৌমাছিদের অবস্থান বুঝতে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে মৌমাছির সঠিক অবস্থান শনাক্তের ব্যাপারে একটা ধারণা পাওয়া যায়।

এরপর প্লাস্টারবোর্ড খোলার কাজ শুরু করা হয়। ধারণা করা হচ্ছিলো, প্রতিটি মৌচাক তিন ফুট হতে পারে। কিন্তু বোর্ড খোলার পর দেখা যায়, একেকটি মৌচাক ৬ থেকে ৮ ফুট লম্বা। কার্ড বলেন, আমি এ পর্যন্ত যত মৌচাক দেখেছি, তার মধ্যে এগুলো হচ্ছে সবচেয়ে বড়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে থাকবে বিএনপি : আজাদ

সাড়ে ৩ কোটি টাকার চাল নিয়ে লাপাত্তা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা

সাতক্ষীরায় ৯ মাস বেতন পাচ্ছেন না ৪২০ শিক্ষক

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পোশাক কারখানা

বৃষ্টি আর কত দিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়া-লেবানন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

আরেক দেশ থেকে ইসরায়েলে হামলায় ২ সেনা নিহত, আহত ২৪

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জবির স্লোগান ‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’

১০

শিক্ষক দিবসে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে

১১

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

১২

বৈরুত বিমানবন্দরের পাশেই ইসরায়েলি তাণ্ডব

১৩

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৪

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা : ড. ইউনূস

১৬

বন্যার পানিতে মায়ের লাশের সঙ্গে ভেসে এল শিশু

১৭

লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পিছু হঠল ইসরায়েলি বাহিনী

১৮

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা কখন-কোথায়?

১৯

আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি

২০
X