জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট থেকে কত বরাদ্ধ পেল ক্রীড়াঙ্গন। আওয়ামী লীগ সরকারের চতুর্থ মেয়ায়ের প্রথম বাজেটে বরাদ্ধ বেড়েছে ক্রীড়াঙ্গনে।
পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ২ হাজার ২১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য। যা এ যাবতকালে সর্বোচ্চ বাজেট প্রস্তাব। এর মধ্যে পরিচালন খাত ব্যয় ধারা হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর উন্নয়ন খাতের জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্ধ ছিল ১ হাজার ৫২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৬০১ কোটি ৬৯ লাখ এবং পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯২১ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
ফলে গত বছরের সংশোধিত বাজেট থেকে ৬৮৮ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্প। দীর্ঘদিন ধরে এই স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলমান।
একই সঙ্গে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েয়ে উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)-সহ দেশের বিভিন্ন জেলার স্টেডিয়ামগুলোর অধিকতর উন্নয়ন এবং সুইমিং পুল নির্মাণ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বিকেল ৩টা থেকে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’--শীর্ষক বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট বক্তৃতায় ক্রীড়াঙ্গন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার ক্রীড়ার মানোন্নয়ন এবং খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্রীড়াসামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদানসহ আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করে আসছে।’
নতুন বাজেটে বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠানো নির্মাণসহ নতুন ২০টি প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। একই সঙ্গে দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা ক্রীড়া প্রতিভা খুঁজে বের, দীর্ঘমেয়াদীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থাসমূহকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান ও ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন