ভারতের খ্যাতিমান টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ও পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিক যখন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তখন তা একপ্রকার সিনেমার গল্পকেই হার মানায়। তাদের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি সীমান্তের বেড়াজালও। তবে ২০২২ সাল থেকেই তাদের মধ্যে রয়েছে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। এবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে স্বামী শোয়েব মালিকের সব স্মৃতি মুছে ফেলে সেই গুঞ্জনের পালে আরও হাওয়া দিলেন সানিয়া।
তবে তাদের ১৪ বছরের সংসার ভেঙেছে কি না এই নিয়ে সরাসরি তাদের কেউই মুখ খোলেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো স্বামী-স্ত্রী হলেও বহুদিন একসঙ্গে দেখা যায় না শোয়েব-সানিয়াকে। শোয়েব ছেলের সঙ্গে দুবাইতে সময় কাটালে সেখানে দেখা মেলে না সানিয়ার। অন্যদিকে সানিয়ার অবসর, জন্মদিনের পার্টিতে মির্জা পরিবারের পাশে দেখা যায় না শোয়েবকে। কাগজে কলমে এক থাকলেও বাস্তবে তারা আলাদা।
২০১০ সালে বিয়ের পর ভালই চলছিল তাদের সংসার। ঘর আলো করে এসেছিল এক সন্তানও। তবে ছেলেকে নিয়ে তাদের সুখী সংসারে বাঁধা হয়ে দাড়ায় শোয়েব মালিকের পরকীয়া।
এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শোয়েবের স্মৃতি মুছে ফেলা দেখে অনেকের ধারণা বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহরই দিয়ে দিলেন সানিয়া। ছবি মুছে ফেলার সাথে অবশ্য একটি উদ্ধৃতিও শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে লেখা রয়েছে- ‘বিয়ে কঠিন, ডিভোর্সও কঠিন। নিজের জন্য কোন কঠিনটা বাছবেন, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত…, ঋণগ্রস্ত থাকা কঠিন, স্বনির্ভর হওয়াটাও কঠিন। নিজের মতো কঠিনটা বাছুন… আসলে জীবনে কোনো কিছুই সহজ নয়। সবটাই কঠিন। কিন্তু আমরা কোন কঠিনটা বাছব, সেটা আমাদের ব্যাপার। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন’।
যখন শোয়েব-সানিয়া বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তখনই তাদের নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবে তা ভালোভাবেই সামলান এই দম্পতি। বিয়ের পর অবশ্য পাকিস্তান-ভারত কোথাও নয় বরংচ তারা থাকতেন দুবাইয়ে। কটাক্ষ থাকলেও দাম্পত্য জীবন ভালোভাবেই পার করছিলেন তারা। তবে ২০২২ সালে পাক সুন্দরী আয়েশা ওমরের সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ ফটোশুটে ধরা দেন শোয়েব। তারপর থেকেই যেন বদলে যায় শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্কের রং। অনেকের দাবি, বিয়ে আগেই ভেঙেছে শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্ক। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই কথা জানাননি দুজনে।
মন্তব্য করুন