আপিল বিভাগের পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সহসভাপতির পদ থেকে নিষিদ্ধ থাকবেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
খেলোয়াড় সাজিয়ে আদম পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সহসভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন। সে সঙ্গে পরবর্তী পাঁচ বছর কারাতে ফেডারেশনের সকল প্রকার কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৬ অক্টোবর এ সংগঠককে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করেন হাইকোর্ট বিভাগ। স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল আপিল দায়ের করেন। এ আপিলের প্রেক্ষিতে চেম্বার জজ মামলার ওপর উভয়পক্ষকে স্থিতি বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। চেম্বার জজের এ আদেশের ফলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। অন্যদিকে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনও নতুন কাউকে এ পদে বসাতে পারবে না।
ওই সিভিল আপিল এ বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানি করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত মার্চে ওপেন কাপ আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য একটি দল দক্ষিণ ইউরোপের দেশ মালটায় যায়। নারায়ণগঞ্জের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন ওই কন্টিনজেন্টের দলনেতা। বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন ও মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনকে অবহিত না করেই এ দল পাঠানো হয়। যে কারণে মোস্তাফিজুর রহমানকে মার্শাল আর্ট কনফেডারেশন থেকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। মালটায় যাওয়া কন্টিনজেন্টের সদস্যদের পাসপোর্টসহ কারাতে ফেডারেশনে হাজির করার কথা বলা হলেও তা করতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। মালটায় খেলোয়াড় সাজিয়ে আদম পাচারে মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। আদম পাচারের ঘটনা খতিয়ে দেখতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন