এক মাসে তিন আন্তর্জাতিক পদক জিতে দেশে ফিরে উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেন সামিউল ইসলাম রাফি। সোমবার (২৮ এপ্রিল) তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশ নৌবাহিনী সাঁতার দলের সদস্যরা।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া ওপেনে ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশের এ সাঁতারু। এ জন্য সময় নিয়েছেন ২৬.৬৮ সেকেন্ড। এ ইভেন্টে আগের সেরা টাইমিং ছিল ২৭.১৭ সেকেন্ড। তার আগে, থাইল্যান্ড ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জপদক এবং ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে রৌপ্য পদক জিতেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ সাঁতারু।
থাইল্যান্ডে উচ্চতর প্রশিক্ষণে ছিলেন বাংলাদেশি এ সাঁতারু। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে থাকা অন্যান্য দেশের সাঁতারুদের সঙ্গে উল্লিখিত দুটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সামিউল ইসলাম রাফি। মালয়েশিয়া ওপেন থেকে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। কয়েকদিনের মধ্যে আবারও থাইল্যান্ডের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যাবেন এ সাঁতারু।
অন্যতম দেশসেরা এ সাঁতারুর সাম্প্রতিক নৈপুণ্য আশাব্যঞ্জক। কিন্তু এটা ধরে রাখা সম্ভব হবে কি! বিগত দিনে মাহফিজুর রহমান সাগর ছাড়াও অন্যান্য বাংলাদেশি সাঁতারু উচ্চতর প্রশিক্ষণে থাকাকালে নৈপুণ্যের দিক থেকে ভালো অবস্থানে ছিলেন; কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। সামিউল ইসলাম রাফিও কি একই পথে হাঁটবেন?
প্রশ্নের উত্তরে নৌবাহিনীর কোচ নিয়াজ আলী কালবেলাকে বললেন, ‘আগস্ট পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে থাকার কথা সামিউল ইসলাম রাফির। পরবর্তী সময়ে সময়টা বাড়ানো হতে পারে। সময় বৃদ্ধি করা না হলেও আমাদের নৌবাহিনীর উন্নত প্রশিক্ষণ সুবিধায় এ সাঁতারু নিজেকে ধরে রাখতে পারবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশি এ সাঁতারুর প্রধান ইভেন্ট হচ্ছে ব্যাকস্ট্রোক। তার বাইরে ফ্রিস্টাইল ও ব্যক্তিগত মিডলে ইভেন্টেও খেলেন। আগামী জানুয়ারিতে প্রস্তাবিত এসএ গেমসে এ সাঁতারুকে ঘিরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এসএ গেমস পর্যন্ত সামিউল ইসলাম রাফি আদৌ নিজের বর্তমান অবস্থা থেকে আরও উন্নতি করতে পারবে তো, না সিনিয়রদের মতো হারিয়ে যাবেন!
মন্তব্য করুন