ওমানকে নিয়ে ভয় ছিল, সেই ওমানেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ। আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত দেশটির কাছে হেরে এএইচএফ কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। যার অর্থ আগামী এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে না লাল-সবুজদের।
শুক্রবারের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হারল ৫-৪ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচের শুরুতে ওমান গোল করলেও একপর্যায়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই অবস্থা থেকে টানা তিন গোল করেছে ওমান। পরে বাংলাদেশ দুই গোল করলেও হজম করেছে আরও একটি। এ হারের মাধ্যমে শেষ হলো বাংলাদেশের এএইচএফ কাপ আধিপত্য। ২০০৮ সাল থেকে টানা চার আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল-সবুজরা। পঞ্চম শিরোপার মিশনে সেমিফাইনালে দর্শক হয়ে গেল বাংলাদেশ।
আরেক সেমিফাইনালে কাজাখস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চাইনিজ তাইপে। ২৭ এপ্রিল ফাইনালে মুখোমুখি হবে চাইনিজ তাইপে এবং ওমান। দুটি দল ‘এ’ গ্রুপে ছিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওমানের সঙ্গে ৪-৪ গোলে ড্র করেছিল চায়নিজ তাইপে।
শুক্রবার ম্যাচের অষ্টম মিনিটে আলিয়াস আল-নউফালির ফিল্ড গোলে লিড পায় ওমান। ১৩ মিনিটে সোহানুর রহমান সবুজের পেনাল্টি কর্নার (পিসি) গোলে সমতায় আসে বাংলাদেশ। ২৪ মিনিটে আশরাফুল ইসলামের পিসি গোলে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ২৭ মিনিটে রাশাদ আল-ফাজারি পিসি থেকে, ৩০ মিনিটে ফাহাদ আল-লাওয়াতি এবং পরের মিনিটে আলিয়াস আল-নউফালির ফিল্ড গোলে ৪-২ ব্যবধানে লিড নেয় ওমান। ৩৮ মিনিটে করা ওবায়দুল ইসলাম জয়ের ফিল্ড গোল বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিল। ৪৪ মিনিটে রাশাদ আল-ফাজারির ফিল্ড গোলে ব্যবধান আরও বড় করেছে ওমান। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে সোহানুর রহমান সবুজ স্কোরলাইন ৫-৪ করে ম্যাচ জমিয়ে রাখেন। সে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
টানা চার শিরোপা জয়ের পথে ২০০৮, ২০১২ ও ২০২২ সালের ফাইনালে ওমানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ওমানের মধুর প্রতিশোধ ছিল এ ম্যাচ। দেশটি এএইচএফ কাপ খেলতে যাওয়ার আগে পাকিস্তানে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। এর আগে আরেকটি প্রতিযোগিতা খেলেছে দেশটি। যার সুফল পেয়েছে ওমান। অপরদিকে প্রস্তুতি ম্যাচ সংক্রান্ত আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশ দলের কোচ মশিউর রহমান বিপ্লবের কণ্ঠে। শেষ পর্যন্ত সে প্রস্তুতি ম্যাচই কি ব্যবধান গড়ে দিল, নাকি দেশের হকি নিয়ন্ত্রক সংস্থার দৈন্যের কুফল এটা!
মন্তব্য করুন