এস এ গেমস সামনে রেখে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কর্মকর্তারা। সে আলোচনায় গেমসের প্রস্তুতির বিষয়ই গুরুত্ব পেল। গেমসের আগে বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা প্রস্তুতির যে সুবিধা চাইলেন, তার অন্যতম ছিল বিদেশি কোচ উড়িয়ে আনা।
২০১০ সালের এস এ গেমসে কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুনকে এনে সাঁতারে উন্নতি করলেও দেশের মাটিতে আয়োজিত আসরে কোনো স্বর্ণপদক পায়নি স্বাগতিকরা। মাইক্রো সেকেন্ডের আক্ষেপে একাধিক ইভেন্টে রুপার পদকে সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছে। সেই সাঁতার ফেডারেশন আবারও বিদেশি কোচ আনতে চায়। এ জন্য বিওএর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহনী বলছিলেন, ‘আমরা দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কোচ আনার বিষয়ে যোগাযোগ করছি। বিদেশি কোচের বিষয়ে বিওএর সহায়তা পাওয়া গেলে ভালো হয়।’
বিদেশি কোচ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনও। এ প্রসঙ্গে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলছিলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য জাতীয় দলের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। এস এ গেমসের জন্য আমরা এ প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে চাই।’ গত এস এ গেমসের আরচারিদের ১০ ইভেন্টের সবগুলোতে স্বর্ণপদক পায় বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের প্রস্তাবিত এস এ গেমসের আগে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ বলেছেন, ‘বিদেশি কোচের অধীনে আমাদের অনুশীলন নিয়মিত চলছে। সামনে এশিয়ান পর্যায়ের দুটি প্রতিযোগিতা রয়েছে আমাদের। সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিওএর সহায়তা চাই আমরা।’
মন্তব্য করুন