প্রথমে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলতে আপত্তি ছিল মোহামেডানের। পরে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি জানায়- এ ভেন্যুতে অন্য দলের বিপক্ষে খেলতে আপত্তি নেই, কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহী নয় মোহামেডান। ১২ এপ্রিল বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ লিগ ম্যাচ, সে দ্বৈরথ সামনে রেখে আবারও কিংস অ্যারেনায় খেলতে আপত্তি জানিয়েছে মোহামেডান।
ভেন্যু সংক্রান্ত ইস্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) এ নিয়ে প্রায় চার মাসের মধ্যে দুটি চিঠি দিল মোহামেডান। সর্বশেষ চিঠি দিয়েছিল গত বছরের ২৮ নভেম্বর। সে চিঠি অবশ্য বাফুফে আমলে নেয়নি। আগের চিঠি দেওয়া হয়েছিল বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর। এবারের চিঠি দেওয়া হয়েছে সভাপতি তাবিথ এম আউয়াল বরাবর। ১২ এপ্রিলের ম্যাচ সামনে রেখে দেওয়া সর্বশেষ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কী হয়- সময়ই বলতে পারে।
ভেন্যু সংক্রান্ত ইস্যুতে মোহামেডানের আপত্তির কারণ চ্যালেঞ্জ কাপ ফাইনাল। গত বছর ২২ নভেম্বর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার ওই ম্যাচের ৬১তম মিনিটে স্বাগতিক দর্শকরা গ্যালারি থেকে মাঠে স্মোক ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করে। যে কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ২০ মিনিট। তখন মোহামেডান ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। পরে তিন গোল করে বসুন্ধরা কিংস ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ঘরোয়া নতুন এ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়।
ম্যাচের পর মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ অভিযোগ করেন, স্বাগতিক দর্শকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ায় তার দলের খেলার ছন্দপতন ঘটে। পরে মোহামেডান অফিসিয়ালি বাফুফেকে চিঠি দিয়ে কিংস অ্যারেনায় খেলতে আপত্তি জানায়। যদিও সে ভেন্যুতে ১০ ডিসেম্বর রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ফেডারেশন কাপের ম্যাচ খেলেছে মোহামেডান। চিঠিতে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও আপত্তি জানায় মোহামেডান।
মন্তব্য করুন