দেশে আয়োজিত একমাত্র ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক বাংলাদেশের সম্ভাবনার কেন্দ্রে থাকে জুনিয়র বিভাগ। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ বিভাগে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকছেন সিফাত উল্লাহ গালিব। চট্টগ্রামের এ শাটলারকে ঘিরে সিনিয়র বিভাগেও ভালো করার প্রত্যাশা স্বাগতিকদের।
আগামীকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে জুনিয়র প্রতিযোগিতা—ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ জুনিয়র ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ। ৫ হাজার ডলার প্রাইজমানির জুনিয়র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে মাত্র তিন দেশ—স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিনিয়র প্রতিযোগিতা—ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশাল চ্যালেঞ্জ। ১৫ হাজার ডলার প্রাইজমানির এ আসরে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণ করছে ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালদ্বীপ, ইউক্রেন, ইতালি, ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ড। জুনিয়র বিভাগে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১১৪, যার ৫৫ জন বাংলাদেশের। সিনিয়র বিভাগে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২২৮ জন, স্বাগতিক বাংলাদেশের ৬১ শাটলার থাকছেন এ আয়োজনে।
আসর শুরুর আগে বাংলাদেশ কোচ মোহাম্মদ জাভেদ কালবেলাকে বলছিলেন, ‘বরাবরই জুনিয়র দল নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেশি থাকে। এবারও জুনিয়র বিভাগকে ঘিরে প্রত্যাশা বেশি। জুনিয়র শাটলারদের মধ্যে এককে সিফাত উল্লাহ গালিব এবং মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে সিফাত উল্লাহ গালিব-এস কে পৃথাকে ঘিরে প্রত্যাশা বাংলাদেশের। আশা করছি, তারা এ আসরে ভালো করবে।’
একই সুর ছিল বাংলাদেশ দলের নারী কোচ এলিনা সুলতানার কণ্ঠে, ‘আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি আছে। এ সীমাবদ্ধতার পরও আমরা ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছি। বিশেষ করে জুনিয়র বিভাগে।’
সম্ভাবনা ছিল ছেলেদের দ্বৈত ইভেন্টে। যেখানে সিফাত উল্লাহ গালিবের পার্টনার ছিলেন মাসুদ। নিবন্ধন করার পরও এ ইভেন্ট থেকে মাসুদ নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। যে কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যান্য ইভেন্ট থেকে বাদ পড়েছেন এ শাটলার।
গালিব-মাসুদ জুটি সংক্রান্ত আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশ কোচ মোহাম্মদ জাভেদের কণ্ঠে, ‘গালিব-মাসুদ জুটিকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ জুটিকে পাচ্ছি না।’
বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং আক্ষেপের সঙ্গে জুড়ে আছে সিফাত উল্লাহ গালিবের নাম। যাকে নিয়ে আলোচনা, সেই সিফাত উল্লাহ গালিব কিন্তু মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থা নিয়ে এ আসর শুরু করতে যাচ্ছেন। ২ ডিসেম্বর দুনিয়র মায়া ছেড়ে যান সহোদর এবং স্বর্ণজয়ী সাবেক শুটার সৈয়দা সাদিয়া সুলতানা। এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ জাভেদ বলছিলেন, ‘মানসিকভাবে বড় একটা ধকল গেছে গালিবের ওপর দিয়ে। আমরা তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছি। আশা করছি, আসরে নিজের সেরাটা দিতে পারবে এ শাটলার।’
জুনিয়র ও সিনিয়র দুই আসরেই খেলা হবে ছেলেদের একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত এবং মেয়েদের একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে। দুই বিভাগেই প্রত্যাশার কেন্দ্রে থাকছেন সিফাত উল্লাহ গালিব। চাপের মুখে ভেঙে পড়বেন না তো প্রতিভাববান এ শাটলার!
মন্তব্য করুন