একই দিনে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সংক্রান্ত পৃথক চিঠি ইস্যু করল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। একটি সভাপতি নিয়োগ সংক্রান্ত, আরেকটি চিঠি দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রসঙ্গে। সেই চিঠিতে কাবাডি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটিকে ‘বিতর্কিত অ্যাডহক কমিটি’ উল্লেখ করা হয়েছে। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, এ কমিটি গঠন করেছে খোদ এনএসসি!
এনএসসি সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে মো. ময়নুল ইসলামের পরিবর্তে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাহারুল আলমকে। ১৪ নভেম্বর অ্যাডহক কমিটি গঠন সংক্রান্ত পত্রে পুলিশের তৎকালীন আইজি মো. ময়নুল ইসলামকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণের আগেই পুলিশের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসে। নতুন আইজি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাহারুল আলমকে। তাকে কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হলো বুধবার (৪ ডিসেম্বর)।
এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) শামছুল আলম স্বাক্ষরিত দুর্নীতি সংক্রান্ত পত্রের ভাষা ছিল স্ববিরোধী। ১৪ নভেম্বর এনএসসি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে। ১৬ নভেম্বর সে কমিটি সংশোধন করা হয়। আজ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ সংক্রান্ত পত্রে সে কমিটিকে বলা হয়েছে, ‘বিতর্কিত অ্যাডহক কমিটি’। চিঠিতে বলা হয়, ‘অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতির পরিপূর্ণ আইনি তদন্ত করার জন্য পরিচালককে (অর্থ) তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো।’
এনএসসি সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে যে কমিটি গঠন করা হলো, পরিচালক (ক্রীড়া) স্বাক্ষরিত পত্রে সে কমিটিকে ‘বিতর্কিত অ্যাডহক কমিটি’ বলা হচ্ছে। এমন স্ববিরোধী লেখা ক্রীড়াঙ্গনে হাস্যরসের খোরাক জোগাচ্ছে।
পরিচালক (অর্থ) মো. সাইদুর রশিদকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। চিঠি হাতে না পেলেও যে কোনো ধরনের স্বচ্ছতার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছি, এনএসসি এবং সরকারি অন্যান্য দপ্তর চাইলে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সব বিষয় খতিয়ে দেখতে পারে। এখনো সে কথাই বলছি। আমি স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। এখনো আমি অফিসিয়ালি এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে তা দেখে এ নিয়ে কথা বলতে পারব।’
মন্তব্য করুন