একই দিনে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাহী কমিটির সভা বসেছিল। দুই সভাকে ঘিরে কৌতূহল ছিল। দুটি সভা ছিল আসন্ন নির্বাচন ঘিরে।
বিওএ সভাপতির পদ ছেড়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। শূন্যপদ পূরণে নির্বাচন আয়োজন করার জন্যই মূলত সভায় বসেছিল বিওএ নির্বাহী কমিটি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সংক্ষিপ্ত ওই সভায়। বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে পরিবর্তনের গুঞ্জন থাকলেও সেটা গুঞ্জনই রয়ে গেছে। সাবেক আমলা মেজবাহ উদ্দিনকে এ পদে বহাল রাখা হয়েছে। কাজী মো. সালাউদ্দিন যে নির্বাচন দিয়ে বাফুফে সভাপতি হয়েছিলেন, ২০০৮ সালের সে নির্বাচন থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন মেজবাহ উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাখা হয়েছে এহসানুর রহমান ও সুরাইয়া আক্তার জাহানকে।
নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি তিন সদস্যের নির্বাচনী আপিল কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো জাকারিয়াকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন হারুনুর রশীদ ও মিহির সারওয়ার মোর্শেদ। বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভায় ১৩৩ জনের ভোটার তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে।
সভার পর গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ফুটবলার সত্যজিৎ দাস রুপু। গঠিত নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলো মেজবাহ উদ্দিন আহেমদ দক্ষভাবে পরিচালনা করেছেন। তার ওপর সকলের আস্থা আছে। এ কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। বোর্ড সে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’
মন্তব্য করুন