ভারতের নিরাজ চোপরাকে পেছনে ফেলে প্যারিস অলিম্পিকের জ্যাভেলিন থ্রোতে সোনা জেতেন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম। চলতি আসরে এটি পাকিস্তানের একমাত্র পদক। নিজ উদ্যোগে এ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। তার খরচ জোগাড়ে চাঁদাও তুলে ছিলেন গ্রামবাসী।
চাঁদার টাকায় প্রস্তুতি নিয়ে দেশকে উপহার দেন অলিম্পিকের সোনার পদক। বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল করেন নিজ গ্রামের নাম। তাই সোনা জয়ের পর অদ্ভুত এক উপহার পেয়েছেন তিনি। আস্ত একটা মহিষ দেওয়া হবে তাকে।
শ্বশুরের পক্ষ থেকে এ উপহার পেতে যাচ্ছেন নাদিম। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন নাদিমের শ্বশুর মোহাম্মদ নওয়াজ। এ সময় তিনি বলেন, ‘গ্রাম্য প্রথা অনুযায়ী আমাদের এখানে মহিষ উপহার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানের। নাদিম বিশ্ব মঞ্চে সাফল্য পেলেও গ্রামকে ভুলে যাননি। তার বাড়ি এখনো গ্রামেই। এখনো তিনি গ্রামে বাবা-মা ও ভাইদের সঙ্গে থাকেন।’
অল্প বয়সে বিয়ে করেন ২৭ বছর বয়সী এ অ্যাথলেট। তবে সংসারের কারণে বিসর্জন দেননি নিজের স্বপ্ন। নওয়াজ আরও বলেন, ‘৬ বছর আগে যখন নাদিমের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দেই, তখন সে ছোটখাটো একটা কাজ করত। তবে খেলার প্রতি সে খুবই নিষ্ঠাবান ছিল। সুযোগ পেলেই বাড়ির পাশে এবং মাঠে জ্যাভেলিন ছুঁড়ত। যখনই সে আমাদের বাড়ি আসে, কোনোকিছু নিয়েই অভিযোগ করে না। বাড়িতে যা থাকে, তাই খায়।’
প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর ১০০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। পাঞ্জাবের গভর্নর দেবেন আরও ২ মিলিয়ন। সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে থাকছে আরও ৫০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এ ছাড়া পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিকের সম্মান পেতে যাচ্ছেন নাদিম।
মন্তব্য করুন