নামের পাশে লেপ্টে আছে ‘ফরাসি ফেলপস’ তকমা। স্নায়ুর চাপ তৈরির জন্য এটিই যথেষ্ট। কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি। দর্শক কাতারে ছিলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা, যা চাপকে ঘনীভূত করেছে।
সে চাপকে জয় করে সাঁতারের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত ইভেন্টে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণজয়ের উল্লাসে মাতলেন লিওঁ মারশোঁ।
সাফল্যটা হুট করে আসেনি। ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত ইভেন্টে ফেভারিট ছিলেন ২২ বছর বয়সী এ সাঁতারু। কারণ বিশ্বরেকর্ড (৪ মিনিট ২:৫০ সেকেন্ড) তার দখলে ছিল। মাইকেল ফেলপসকে পেছনে ঠেলে দিয়ে অলিম্পিক রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এ জলদানব!
এ জন্য সময় নিয়েছেন ৪ মিনিট ২.৯৫ সেকেন্ড। ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত ইভেন্টে অলিম্পিক ইতিহাসে ফ্রান্সের প্রথম স্বর্ণ পদক এটি। টাইমিংয়ের রেকর্ড গড়া ইভেন্ট দিয়ে ফ্রান্সের হয়ে ইতিহাস গড়লেন। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে গোটা ফ্রান্সের দৃষ্টি ছিল এ ইভেন্টে! গ্যালারি থেকে হুইসেল বাজিয়ে চিৎকার করছিলেন স্বাগতিক সমর্থকরা।
‘ব্রেস্টস্ট্রোকটা ছিল অসাধারণ। কারণ ওই সময় গোটা গ্যালারির চিৎকার আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। ওটা ছিল অসাধারণ মুহূর্ত’—ইভেন্টের পর বলছিলেন লিওঁ মারশোঁ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা আমাদের সবার স্বপ্ন ছিল। আমি এটা আজ করতে পেরেছি। এটা ছিল অসাধারণ। আমি জানি না এ অনুভূতি কীভাবে বর্ণনা করব।’
বাটারফ্লাইয়ের সময়ে মারশোঁর খুব কাছাকাছি ছিলেন জাপানের তময়োকি মাতসুশিতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফরাসি তারকার ৫.৬৭ সেকেন্ড পরে ফিনিশিং প্যাডে হাত রাখা জাপানি সাঁতারুকে রৌপ্য পদকেই সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফস্টার কারসন ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
মন্তব্য করুন