পেনাল্টি পেয়েছে ব্রাজিল, আর সেই শট নিবেন না নেইমার তা খুব কমই হয়েছে। জাতীয় দলের জার্সিতে বেশির ভাগ সময় সেলেসাওদের হয়ে পেনাল্টি শট নিতে দেখা গেছে তাকে।
ইনজুরির কারণে চলতি কোপা আমেরিকায় খেলা হচ্ছে না তার। তবে ব্রাজিলের ম্যাচ দিন ঠিকই উপস্থিত থাকছেন গ্যালারিতে। উপভোগ করছেন সতীর্থদের খেলা। গ্যালারিতে বসে দেখেন কোস্টারিকার বিপক্ষে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোদের গোল মিসের মহড়া।
শনিবার (২৯ জুন) প্যারাগুয়ের বিপক্ষেও ছিলেন গ্যালারিতে। এ ম্যাচে প্রথম থেকে আক্রমণে ছিল ব্রাজিলের। ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোলের সবচেয়ে বড় সুযোগ নষ্ট করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ডি-বক্সে প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার অ্যাড্রিয়ান কিউবাস হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় সেলেসাওরা। লুকাস প্যাকুয়েতা পেনাল্টি শট মারেন গোলপোস্টের বাইরে। গোল বঞ্চিত হয় ব্রাজিল।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে নিজেদের বক্সে দ্বিতীয়বারের মতো হ্যান্ডবল করে প্যারাগুয়ে। এতে আবারও পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এবার কে নিবেন পেনাল্টি শট, এ নিয়ে আগ্রহ ছিল সমর্থকদের মধ্যে।
এমন সময়ে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে নেইমার চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি এটা (পেনাল্টি), আমি এটা নেব!’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি।
Neymar was shouting ill take it! Ill take it! when Brazil got the 2nd penalty pic.twitter.com/cHUWoq81QI
— Ginga Bonito (@GingaBonitoHub) June 29, 2024
এদিকে প্রথমবারের মতো আবারও শট নিতে আসেন লুকাস প্যাকুয়েতা। তবে এবার আর ভুল করেননি এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। এতে ৪-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় সেলেসাওরা। যদিও হ্যাটট্রিক পুরণ করার সুযোগ ছিল ম্যাচে জোড়া গোল করা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের।
ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১০২টি পেনাল্টি শট নিয়েছেন নেইমার জুনিয়র। এর মধ্যে ৮৫টি করেন গোল। আর মিস করেছেন বাকি ১৭টি। বর্তমানে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।
তবে ব্রাজিলের জার্সি আর ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দহে রয়েছে। গত সোমবার (২৪ জুন) কোস্টারিকা বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমে ব্রাজিলের নতুন কোচকে বলেছিলেন, ‘নেইমার ব্রাজিল ফুটবলের সম্পদ। তবে এখন চাই বড়মাপের একটা পরিবর্তন এবং সংস্কারের। সেখানে নেইমারকে বাদ দিয়ে নতুন মুখদের নিয়েই আমাকে কৌশল ঠিক করতে হবে। এই মুহূর্তে সে আমার ভাবনায় নেই। বিশ্বকাপে হারানো গৌরব ফেরাতে হলে নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। এই তরুণ ব্রাজিলের প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে আমার।’
এখন দেখা যাক কী আছে নেইমাররের ভাগ্য। আবারও জাতীয় দলের জার্সি পড়বেন, না কি শেষ হয়ে যাবে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার?
মন্তব্য করুন