পর্তুগালের পা কাটল পচা শামুকে। ইউরোতে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে (৭৪) সবার পেছেনে জর্জিয়া। প্রথমবারের মতো ইউরো কাপে এসে ইতিহাস গড়ল দলটি।
তারকাখচিত পর্তুগিজদের ২-০ গোলে হারিয়ে, ইতিহাসের সেরা অঘটন জন্ম দিল তারা। এতে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে জর্জিয়া।
ভুলে যাওয়ার মতো একটি দিন পার করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গোল পেলেন না আরও এক ম্যাচে। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় দেখলেন হলুদ কার্ড।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৬৫ মিনিটে সিআরসেভেনকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ। এই সিদ্ধান্তও মানতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। দেখান বিরক্তি।
জর্জিয়ার কাছে হারলেও গ্রুপের শীর্ষে থেকেই পরের রাউন্ডে গেল পর্তুগাল। পরের রাউন্ডে যেতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প ছিলো না জর্জিয়ার। পর্তুগালের বিপক্ষে খেলতে নামলে, কিভাবে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হয় তা বুঝিয়ে দেয় তারা।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পর্তুগালের ডিফেন্ডার আন্তোনিও সিলভার ভুল পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে জর্জিয়াকে এগিয়ে দেন ‘নতুন ম্যারাডোনা’ খ্যাত খিচা কাভারাস্কেইয়া।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চেলায় পর্তুগাল। ডি-বক্সে ছটফট করছিলেন রোনালদো। ম্যাচের ১৭ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার ফ্রি কিক রুখে নিশ্চিত গোল বাঁচান জর্জিয়ার গোলকিপার।
২৯ মিনিটে কর্নার থেকে উড়িয়ে আসা বলে হেড করতে গিয়ে ডি-বক্সে পড়ে যান রোনলাদো। পেনাল্টির আবেদন করতে থাকেন তিনি। এতে কান দেননি রেফারি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রোনালদোর শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ৫০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন কাভারাস্কেইয়া। আন্তোনিও সিলভার ভুয়ে হয়েছিল প্রথম গোল। নিজেদের বক্সে লুকা লোশোভিলিকে ফাউল করে বসেন তিনি।
ভিএআরে দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে জর্জিয়াকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন মিকাওতাদজে। এ জয়ে এফ-গ্রুপ থেকে তৃতীয় সেরা দল হিসেবে পরের রাউন্ডে উঠল জর্জিয়া।
এদিকে গ্রুপের আরেক ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তুরস্ক। এ জয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তুরস্ক।
মন্তব্য করুন