২০২২ সালের শেষ দিকে বিশ্বকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এদসন আরনেস্তো দো নসিমন্তে, যিনি বিশ্বে পেলে নামে পরিচিত।
এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তার মা সেলেস্তে আরন্তেস। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম জানিয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। করতে পারতেন না হাঁটাচলা।
দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার পর ১০১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বিশ্বফুটবলের কিংবদন্তির জননী।
সামাজি যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেলের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টের মাধ্য এ খবর নিশ্চিত করা হয়। সেখানে মায়ের সঙ্গে পেলের বেশকিছু ছবি পোস্ট করা হয়। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পেলের মা ডোনা সেলেস্তের মৃত্যুর খবর। একজন মা হিসেবে একটি রেফারেন্স, যিনি মানবিক মূল্যবোধ শিখিয়েছেন যা এডসনকে (পেলে) বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছেন। এবং পুরো সফরজুড়ে রক্ষা করেছেন। এ এক মিশ্র অনুভূতি। সেলেস্তিনহা'র (পেলের মা) বিদায় উপলক্ষে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত, তার ছেলে তাকে আদর করে ডেকেছিল। এদিকে, আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব তার অস্তিত্ব আছে।’
এর আগে দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর পর ২০২২ সালে ২৯ ডিসেম্বর মারা যান পেলে। ব্রাজিলের জার্সিতে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ীর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। মারা যাওয়ার ঠিক একমাস আগে মাকে শততম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পেলে। সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে তার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। দিয়েছিলেন আবেগঘন ক্যাপশন। ব্রাজিলের গণমাধ্যম জানিয়েছে কিংবদন্তির মাপ প্রায় পাঁচ বছর ধরে শয্যাশায়ী। আরও অসুস্থ হওয়ার ভয়ে ছেলের মৃত্যুর খবর তাকে জানানো হয়নি। পেলের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছিলেন তার বোন মারিয়া লুসিয়া দো নাসিমেন্তো।
৭৮ বছর বয়সী লুসিয়া জানিয়েছিলেন, 'আমরা কথা বলেছিলাম কিন্তু তিনি মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু জানেন না। তার একটি নিজস্ব জগত আছে, সেখানে তিনি ভালোই আছেন। মাঝেমধ্যে আমি তাকে বলেছি, পেলে দেখতে কেমন লাগে। কিন্তু মৃত্যুর ব্যাপারে তিনি অবগত ছিলেন না।’
ব্রাজিলের টেস কোরাকো নামক শহরে পেলের মায়ের জন্ম। পরে বুরাউতে চলে আসেন তারা। পেলের ফুটবলের হাতেখড়ি সেখান থেকেই।
পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে পেলেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন তিনি। এ জন্য ও গ্লোব নামক এক প্রতিষ্ঠান তাকে ব্রাজিলিয়ান মাদার অব দ্য ইয়ারে পুরস্কৃত করে
মন্তব্য করুন