যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। যেখানে বেঁচে থাকাই বিলাসিতা সেখানে অন্যকিছুর কথা চিন্তা করাও বৃথা। তবে ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দাঁড়িয়ে আছে এক ক্রীড়া ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে। আসন্ন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের মূল পর্বের সন্নিকটে দেশটি।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এশিয়ান অঞ্চলের দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ হয়েছে। বাছাইপর্বে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে প্রথমবারের মতো তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে ফিলিস্তিন। ১৯৯০ সালে প্রবর্তিত ফরম্যাট অনুযায়ী, প্রথমবার তাদের এই অর্জন। যেখানে ফিলিস্তিন ছাড়াও এশিয়া থেকে খেলবে আরও ১৮টি দেশ।
আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপে মোট ৮টি দেশ সুযোগ পাবে এশিয়া অঞ্চল থেকে। এছাড়াও আরেকটি দেশের সুযোগ থাকবে প্লে অফ খেলে আসার। সর্বমোট তৃতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করা ১৮টি দেশ থেকে অর্ধেক ৯টি দেশ খেলার সুযোগ আছে বিশ্বকাপে!
ফিলিস্তিনের সেক্ষেত্রে অর্ধেক কাজ শেষ। তবে বাকি অর্ধেক কাজটা পেরোনো অনেক কঠিন। কিন্তু দেশটির নাম ফিলিস্তিন।
যে দেশের মানুষের জীবন মানেই যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে ফুটবল দেশবাসীকে এনে দেয় ক্ষণিকের আনন্দ। তাই ফিলিস্তিনের ফুটবলাররা লড়ে দেশবাসীর জন্য। কারণ ফুটবল তাদের কাছে মৃত্যুকে ভুলে থাকার রাস্তা! ফুটবল ভাষায় পৃথিবীর কাছে নিজেদের কথা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম।
এশিয়া কাপ থেকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব–একের পর এক এক বাধা টপকে বৈশ্বিক রাজনীতির মোড়লদের সেই বার্তাই দিয়েছে ফিলিস্তিন ফুটবল দল—অস্ত্র ছাড়াও টিকে থাকা যায়। শুধু তাই নয়, পৌঁছে যাওয়া যায় গ্রেটেস্ট শো অন আর্থেও।
সামনে সব ঠিক থাকলে দেশটি হয়তো বিশ্বকাপ খেলবে তবে বিশ্বকাপ না খেললেও তারা দেশকে ইসরায়েলের আক্রমণ থেকে মুক্ত করার কামনা থাকবেই ।
মন্তব্য করুন