২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকা আয়োজন করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মহদেশীয় এই টুর্নামেন্টে শতবর্ষী আসর বসেছিল মার্কিন মুল্লুকে। কোপা আমেরিকা মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রচীণ প্রতিযোগিতা।
লাতিন অনেক কিংবদন্তি খেলেছেন এই প্রতিযোগিতা। এদের মধ্যে এমন দুজন আছেন যারা বিশ্বকাপ জিতলেও, ক্যারিয়ারের জিততে পারেননি মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের ট্রফি।
আগামী ২০ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপার ৪৮তম আসর। আমেরিকার ১২ শহরের ১৪টি স্টেডিয়ামে হবে লাতিন ফুটবলের মহাযুদ্ধ। তবে এবার লাতিনদের সঙ্গে এই যুদ্ধে যোগ দেবে নর্থ ও সেন্ট্রাল আমেরিকানরাও।
লাতিন ফুটবলের পরাশক্তি ব্রাজিল, উরুগুয়ে এবং লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনাসহ ১৬ দল লড়াইয়ে নামবে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের খেতাব অর্জনের জন্য। লাতিন দশ দেশের সঙ্গে এবারের আসরে অংশ নেবে, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকোসহ উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ৬টি দেশ।
১০৮ বছর শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন অনেক কিংবদিন্ত। এমন দুজন আছেন যারা, বিশ্বকাপসহ জিতেছেন প্রায় সব ধরনের টুর্নামেন্টের শিরোপা। আর এ দুজন ছাড়া লাতিন আমেরিকার প্রায় সব সুপারস্টারই জিতেছেন কোপা আমেরিকার ট্রফি।
তাদের নাম শুনলে অবাক হবে যে কেউ! একজন রেকর্ড তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে। অন্যজন প্রায় একক প্রচেষ্টায় ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এই দুই কিংবদন্তির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আক্ষেপের দিক হচ্ছে, নিজ মহাদেশের ট্রফি জেতা হয়নি তাদের।
কোপায় খুব বেশি খেলেননি ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা পেলে। ১৯৫৮ সালে একবারই অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে খেলা সেই আসরে ৮টি গোল করে জিতেছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের খেতাবও জিতেছিলেন পেলে।
তবে সাত দলের এই টুর্নামেন্টটি হয় রাউন্ড রবিন লিগ প্রদ্ধতিতে। এতে ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর রানার্স আপ হয়ে শেষ হয় পেলের কোপা আমেরিকার ক্যারিয়ার।
তবে কোপা জিততে না পারার আক্ষেপে বেশি পুড়েছেন ম্যারাডোনা। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৮৯, কোপার এই তিন আসরে খেলেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তবে ১৯৮৭ সালে ঘরের মাঠে হওয়া আসরে দুর্দান্ত ছিল তার পারফরম্যান্স।
চার ম্যাচে তিনটি গোল করেছিলেন তিনি। সেই আসরের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে। আর এতেই কোপা আমেরিকার শিরোপা খরা নিয়ে শেষ হয় তার ফুটবল ক্যারিয়ার।
মন্তব্য করুন