স্পেনের বাস্কের বিলবাও শহর, পর্যটনের সঙ্গে সঙ্গে যা সাধারণত লা লিগার ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ঘরের মাঠ বলেও পরিচিত। তবে অ্যাথলেটিকের শহরে বার্সেলোনার লাল ও নীল রঙে ভরে উঠেছিল শনিবার। কাতালান ক্লাবটির ভক্তরা প্রতিটিবার এবং রেস্তোরাঁয় বার্সেলোনার নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিওঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখতে ভরে গিয়েছিল।
শনিবার (২৫ মে) উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে স্পেনের বিলবাওয়ের সান মামেস স্টেডিয়ামে অলিম্পিক লিওঁকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আসরটির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা নারী ফুটবল দল। দলের অন্যতম দুই প্রধান তারকা আইতানা বোনমাতি এবং আলেক্সিস পুতেল্লাসের গোলে জয় নিশ্চিত হয় বার্সার। বোনমাতি ম্যাচের এক ঘণ্টা পেরোনোর কিছুক্ষণ পরে বল জালে পাঠান আর পুতেল্লাস অতিরিক্ত সময়ের তিন মিনিটে গোল দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে বার্সা ঐতিহাসিক কোয়াড্রপলও অর্জন করল।
অথচ এই লিওঁই বার্সাকে ফাইনালে আগের দুই দেখায় রীতিমতো বিধ্বস্ত করে। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের মতো এটি একপেশে ছিল না ২০১৯ সালে বুদাপেস্টের ফাইনালে, লিওঁ ৩০ মিনিটের মধ্যে চার গোল করে ৪-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। তিন বছর পর তুরিনে, লিওঁ ৩৩ মিনিটের মধ্যে ৩-০ তে এগিয়ে গিয়ে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায়।
বার্সেলোনা কষ্টের সেই দুই পরাজয়ের পর থেকে নারী ফুটবলে বেশ উন্নতি করেছে, বিলবাওতে তৃতীয় দেখার বিজয়ের আগে বার্সা দুবার ট্রফি তুলেছে তবে লিওঁর দেখা পায়নি। এবার অবশেষে বার্সার প্রতিশোধ সম্পন্ন হলো।
ম্যাচের ফরোয়ার্ড ক্যারোলিন গ্রাহাম হ্যানসেন ম্যাচের পর মন্তব্য করেন যে, ‘আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিপক্ব হয়েছি এবং বিগত বছরগুলোতে শিখেছি, বিশেষ করে আমরা যে ফাইনালগুলো হেরেছিলাম তা থেকে। তাই, আমরা আবার একটি সুযোগ পেয়ে খুশি এবং দেখাতে পেরেছি, আমরা কতটা পরিবর্তিত এবং কঠিন হয়ে উঠেছি।’
বার্সেলোনার জন্য লিওঁ ঐতিহ্যগতভাবে কঠিন এক প্রতিপক্ষ। বার্সার প্রভাবের আগে লিওঁ ইউরোপীয় মহিলা ফুটবলে আমূল পরিবর্তন এনেছিল।
পুরো ম্যাচজুড়েই বার্সার আধিপত্য স্পষ্ট ছিল। তাদের আধিপত্য বিস্তার করা ফুটবলের সঙ্গে লিওঁ পেরে উঠছিল না। তবে, তারা প্রথমে তাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিল, প্রথমার্ধের তাদের সেরা সুযোগটি লিওঁর গোলকিপার ক্রিশ্চিয়ানে এন্ডলার ফিরিয়ে দেন।
লিওঁর সেরা সুযোগটি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এসেছিল, কিন্তু সেলমা বাচারের ফ্রি-কিক থেকে গিলসের হেডার লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
লিয়নের মিস করা সুযোগগুলো তাদের গলার কাঁটা হয়ে ওঠে যখন ব্যালন ডি’অর জয়ী বোনমাতি ঘণ্টা পেরোনোর একটু পরেই ডেডলক ভেঙে দেন। তার শট গিলস থেকে প্রতিফলিত হয়ে এন্ডলারের পাশ দিয়ে যায়।
লিওঁ সমতাসূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রতিযোগিতার রেকর্ড গোলদাতা আডা হেগেরবার্গকে মাঠে আনে সমতাসূচক গোলের জন্য। তবে, পুতেল্লাসের শেষ মুহূর্তের গোল লিওঁর সমতাসূচক গোলের স্বপ্নের ইতি টানায়।
মন্তব্য করুন