ইউরোপের ফুটবল লিগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। ইংলিশ লিগের দলগুলোর অঢেল টাকা খরচের কারণে প্রায়ই অনান্য লিগের দলগুলো অভিযোগ করে থাকে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে বিখ্যাত অনেক ক্লাবের খেলোয়াড়দেরও ঘোষণা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল প্রিমিয়ার লিগের তলানির দলগুলো। তবে এবার অবশেষে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর অঢেল টাকা খরচ করে দল বানানোর দিন শেষ হচ্ছে। প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো খরচের সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৬টিই ভোট দিয়েছে খরচ সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি এবং অ্যাস্টন ভিলা এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় আর চেলসি ভোটদান থেকে বিরত থাকে ।
এই বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রিমিয়ার লিগের বার্ষিক সাধারণ সভায় এর অনুমোদন হলেই খরচের বিষয়টি আইনে পরিণত হবে। বর্তমানে চালু থাকা আর্থিক সংগতি নীতির বদলে নতুন এ আর্থিক নীতি তখন কার্যকর হবে। তবে সামনের মৌসুমে নয় তার পরের মৌসুম থেকে কার্যকর হবে এই নীতি।
নতুন এই আইন অনুযায়ী একটি ক্লাব সর্বোচ্চ কত খরচ করতে পারবে তা নির্ধারিত হবে লিগের সবচেয়ে কম আয় করা দলটি টেলিভিশন সম্প্রচারস্বত্ব ও অন্যান্য বাণিজ্যিক আয় থেকে যত টাকা উপার্যন করে তার অনুপাতে।
প্রস্তাবিত নতুন এই আর্থিক নীতিতে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে সবচেয়ে কম আয় করা দলের আয়কে। সেই ক্লাবের মোট আয়ের সর্বোচ্চ পাঁচ গুণ খরচ করতে পারবে অনান্য ক্লাবগুলো।
বর্তমান যে আর্থিক সংগতি নীতি চালু আছে। তা ভঙ্গ করার অভিযোগে এভারটন ও নটিংহাম ফরেস্টকে এই মৌসুমে পয়েন্ট কাটা হয়েছে। তবে এই নীতির কারণে লাভজনক ধনী ক্লাবগুলো সুবিধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে অনান্য দলগুলো। বর্তমান থাকা আইনে তিন মৌসুমের একটি চক্রে একটি ক্লাবের সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ কোটি পাউন্ড আর্থিক ক্ষতি মেনে নেওয়া হয়। এর বেশি ক্ষতি হলে নেমে আসে শাস্তির খড়গ। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের দাবি ক্লাবগুলোকে দীর্ঘ মেয়াদে আর্থিকভাবে টেকসই করতেই আর্থিক সংগতি নীতি।
তবে প্রস্তাবিত নতুন আর্থিক নীতিতে সবচেয়ে কম আয়কে ভিত্তি ধরা হবে। উদহারণ হিসেবে বলা যায় যদি সবচেয়ে তলানির দল টেলিভিশন স্বত্ব থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করে। তাহলে বাকি দলগুলো সর্বোচ্চ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে পারবে। এর বেশি খরচ করলেই শাস্তি পেতে হবে।
মন্তব্য করুন