ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই আজ রাতে মাঠে গড়াবে। প্রথম দিনেই রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল-বায়ার্ন মিউনিখের হাইভোল্টেজ ম্যাচ রয়েছে। আর তার পরের দিনই বার্সেলোনা-পিএসজি ও বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের-অ্যাথলেটিকো মাঠে নামবে। ফুটবলভক্তরাও অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ম্যাচগুলোর জন্য। তবে মাঠের লড়াই ছাপিয়ে ফুটবল ভক্তদের মনে অন্য শঙ্কা ভর করেছে। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচসহ কোয়ার্টার ফাইনালের চার ভেন্যুতে হামলার হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
ম্যাচগুলোতে হামলার হুমকি যে আয়োজকরা পেয়েছেন সে কথাও তারা স্বীকার করেছেন। তবে এ নিয়ে সতর্কতা জারির কোনো কারণ আপাতত দেখছেন না তারা। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও তারা যথেষ্ঠ সন্তুষ্ট।
ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের করা এক প্রতিবেদনে এই খবর নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, জঙ্গি সংগঠনটির প্রচার মাধ্যম বলে পরিচিত আল আজাইম ফাউন্ডেশন আইএসআইএসের এই হামলার খবর প্রচার করছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) এ প্রতিষ্ঠানটি একটি পোস্টার প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায় কালো পোশাক পরে একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। সামনে বিশাল স্টেডিয়াম আর পেছনে এ সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের চারটি ভেন্যুর নাম লেখা—এমিরেটস স্টেডিয়াম, পার্ক দে প্রিন্সেস, মেত্রোপলিতানো অ্যারেনা ও সান্তিয়াগো বার্নব্যু। ক্যাপশন, ‘সবাইকে হত্যা করো।’
সর্বপ্রথম এই খবর অবশ্য স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা প্রকাশ করে। এদিকে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ত্রুটি রাখতে চায় না আয়োজকরা। এরই মাঝে স্পেনের মাদ্রিদ শহরে নিরাপত্তার জন্য ৩ হাজারের বেশি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্য মাঠে নেমেছে। এর পর দিন মাদ্রিদেই আবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ড খেলবে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে। ধারণা করা হচ্ছে দুদিনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে দুই ম্যাচকে ঘিরে।
ডেইলি মেইলের দাবি, ম্যানচেস্টার সিটি ও ডর্টমুন্ডের প্রায় ৮ হাজার দর্শক মাদ্রিদে সফর করবে। এ ছাড়া লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামেও নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আইএস গত ২২ মার্চ সর্বশেষ হামলা চালায়। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সের এক কনসার্টে হামলায় ১৪৩ জন নিহত এবং আনুমানিক ৩০০ জন আহত হয়েছিল।
মন্তব্য করুন