গত কয়েক সপ্তাহে সংবাদের শিরোনাম ছিল লিওনেল মেসির দলবদল। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটান আর্জেন্টাইন সুপার স্টার নিজেই। জানান আগামী মৌসুম থেকে তিনি খেলবেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
গ্রহের সেরা তারকার এ ঘোষণার পর উৎসবে মাতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর ফ্লোরিডার বাসিন্দারা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে বরণ করে নিতে প্রস্তুত তারা। কিন্তু তাদের অপেক্ষায় রেখে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গেলেন মেসি। এতে প্রশ্ন উঠেছে হঠাৎ করে কেন যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে এশিয়ার দেশটিতে পা রাখলেন তিনি।
অবশ্য অবাক হওয়ার কিছুই নেই। মেসির এই সফর পূর্বনির্ধারিত। ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো চীন সফলে আসলেন তিনি। তবে এবার তার গায়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তকমা। তাই তো বিশ্বজয়ী মেসি ও আর্জেন্টিনা দলকে একত্রে দেখতে আগ্রহের কমতি নেই চীনাদের। আর্জেন্টাইন সুপার স্টারকে এক পলক দেখতে বিমানবন্দরে ভিড় করেন তারা।
এ সময় মেসির সঙ্গে পুরো আর্জেন্টিনা স্কোয়াড। আগামী ১৫ জুন বেইজিংয়ের ওয়ার্কাস স্টেডিয়ামে পুনরায় মঞ্চায়িত হবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াই। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া। সে ম্যাচ সকারুদের ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল আলবিসেলেস্তারা।
বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে পুনরাবৃত্তি দেখতে আগ্রহী অনেক চীনা নাগরিক। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৬৫ হাজার হলেও টিকিটের চাহিদা ব্যাপক। তার আগে মেসি ও আর্জেন্টিনা পুরো দলকে দেখতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন বেশ কয়েক হাজার চীনা সমর্থক। এ সময় তাদের হাতে ছিল মেসির ১০ নম্বর জার্সি।মেসিকে এক নজর দেখতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে। এ সময় মেসির প্রতি তীব্র ভালোবাসা প্রকাশ করেন তারা।
তাই তো আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের টিকিট সংগ্রহে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন চীনারা। প্রথম দফায় যত টিকিট ছাড়া হয়েছিল, তা বিক্রি হতে সময় লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট।
বেইজিংয়ে এই ম্যাচের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ৮২ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮ হাজার ৮৩৫ টাকা। সবচেয়ে দামি টিকিটের দাম ৬৭৫ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭২ হাজার টাকার একটু বেশি। এরপরও বিক্রি হয়ে গেছে সব টিকিট।
বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির পর ১৯ জুন এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ম্যাচটি আর্জেন্টিনা খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে।
মন্তব্য করুন